যমুনার নিভৃত চরাঞ্চলে বাড়ছে গরু চুরি
জামালপুরের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি ইউনিয়নসহ সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলে সম্প্রতি বেড়েছে গরু চুরি। প্রতি রাতেই এসব এলাকায় ঘটছে চুরির ঘটনা। ফলে চোরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে অনেকেই গোয়াল ঘরে রাত কাটাচ্ছেন।
যমুনার এপারে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার বৃহৎ এরিয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো পুলিশ ফাঁড়ি না থাকায় হরহামেশাই ঘটছে এমন ঘটনা। তবে প্রশাসন বলছে এলাকার নিরাপত্তায় একটি পুলিশ ফাঁড়ির আবেদন করা হয়েছে। এটি হলেই পরিস্থিতি নিয়রন্ত্রণে আসবে।
স্থানীয়রা জানান, ৬ অক্টোবর কাজিপুর উপজেলার গুয়াখড়া গ্রামের মৃত শুক্কুর মণ্ডলের ছেলে আব্দুস সাত্তারের ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি এবং একই গ্রামের শুক্কুর আলীর প্রায় এক লাখ টাকা মূল্যের একটি গরু গোয়াল থেকে চুরি হয়। এছাড়াও গত সপ্তাহে জোরাবাড়ি এলাকার লুৎফর রহমানের প্রায় একলাখ ২০ হাজার টাকা সমূল্যের এবং চরপোগলদিঘা গ্রামের আব্দুল মালেকের প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার টাকা সমমূল্যের দুটি গরু চুরি হয়।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, অঞ্চলভিত্তিক পুলিশ ক্যাম্প না থাকায় এমন ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। গ্রামের হতদরিদ্র মানুষগুলো গরু হারিয়ে প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়ছে। চুরির ঘটনা আপাতদৃষ্টিতে মামুলি মনে হলেও গ্রামের হতদরিদ্র মানুষগুলো পথে বসছে।
ভুক্তভোগী আব্দুস সাত্তার এবং শুক্কুর আলী জানান, স্থানীয় বাজার থেকে রাত ১টার দিকে চা খেয়ে বাড়িতে এসে ঘুমিয়ে পড়ি। তখনও গরু গোয়ালেই ছিলো, কিন্তু সকালে গিয়ে দেখি গোয়াল ঘরে গরু নেই।
সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ জানান, চুরির একটি ঘটনা অবগত রয়েছি। আর কোনো ঘটনার কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পঞ্চনন্দ সরকার জানান, বিষয়টি জানা ছিলো না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাজিপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, চুরি তো হয় রাতে, তাই এ বিষয়ে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে। বাড়ি বাড়ি পুলিশ দেয়া সম্ভব নয়। তবে মুনসুর নগরে একটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনে আবেদন করা হয়েছে। এটা হলে সমস্যা লাঘব হবে।
এএইচ/এমএস