ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মানসিক ভারসাম্যহীন রিক্তাকে দেখার কেউ নেই

জেলা প্রতিনিধি | ফরিদপুর | প্রকাশিত: ০১:২৭ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২১

রিক্তা রানি মালো মানসিক ভারসাম্যহীন। বয়স আনুমানিক ৩২ বছর। মানসিক সমস্যা ছাড়াও শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রোগ। এক পায়ে পচন ধরেছে। তাই হাঁটতে-চলতে পারেন না। বর্তমানে তার নেই কোনো ঠিকানা। আপন বলতেও কেউ নেই। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার একটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের বারান্দায় কোনোমতে আশ্রয় নিয়ে দিনরাত পার করছেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রিক্তা রানি মালোর পরিবারের কেউ এখন বাংলাদেশে থাকেন না, সবাই ভারতে। মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে পরিবারের সবাই তাকে রেখে স্থায়ীভাবে ভারতে চলে গেছেন। কিছুদিন এখানে তার মামাবাড়িতে ঠাঁই হলেও মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় সেখানেও জায়গা হয়নি। নিরুপায় হয়ে তিনি এখন ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া বাজার এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের খোলা বারান্দায় অস্থায়ীভাবে বাস করছেন।

একে তো মাথায় সমস্যা, অন্যদিকে পায়ে পচন। পেটে ক্ষুধা লাগলেও হেঁটে কোথাও যেতে পারেন না। চলতি পথে কেউ যদি কোনো খাবার দেন, তবেই তার খাওয়া হয়। ভালোভাবে কথাও বলতে পারেন না। সারাদিন একা চুপচাপ বসে থাকেন আর দুই চোখ দিয়ে পানি ঝরে। সবমিলিয়ে মৃত্যুর অপেক্ষায় কাটছে ভাসমান রিক্তার জীবন।

স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, আগে বাজার এলাকা ঘোরাফেরা করতেন। পাগলি হিসেবে দোকানদার ও মানুষজন কিছু খাবারও দিতো। গত কিছুদিন আগে কীভাবে যেন রিক্তার পা কেটে যায়। চিকিৎসার অভাবে সেখান থেকে ইনফেকশন হওয়ায় এখন আর হাঁটতে পারেন না, পায়ের সেই স্থানে পচন ধরেছে। তাই দিনরাত পরিষদের বারান্দায় বসে কাঁদতে দেখা যায়। রিক্তা নিজেও ভালো করে কথা বলতে পারেন না। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রাও রিক্তার পুরো পরিচয় এবং তার মামার নাম-ঠিকানা জানাতে পারেননি।

এ বিষয়ে ঘারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিউদ্দিন মোল্যা বলেন, একটা পাগলি মেয়েকে পরিষদের বারান্দায় বসে থাকতে দেখেছি। মানসিক ভারসাম্যহীন মনে করে আগ্রহ নিয়ে বিস্তারিত জানা হয়নি। তার ব্যাপারে দ্রুত বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে সাহায্য-সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।

ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজিমউদ্দিন বলেন, চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ স্থানীয়রা এ ব্যাপারে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। তবে এ বিষয়ে আমি নিজে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবো।

এন কে বি নয়ন/বিএ/এএসএম