বিকাশের ডিএসওকে পিটিয়ে পৌনে ৪ লাখ টাকা নিয়ে গেল সন্ত্রাসীরা
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর সেলস অফিসার (ডিএসও) নাজমুল তরফদারকে (২৩) পিটিয়ে তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। নাজমুলের অভিযোগ, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কর্মী। যদিও সংগঠনটির উপজেলা শাখার সভাপতির দাবি, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কেউ নয়।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে সরিষাবাড়ী পৌর এলাকার চিল রেস্টুরেন্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতাবস্থায় নাজমুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি সরিষাবাড়ী পৌরসভার প্যানেল মেয়র (কাউন্সিলর) আব্দুল হক তরফদারের ভাতিজা ও শিমলাবাজারের সোলাইমান তরফদারের ছেলে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাজমুল তরফদার অভিযোগ করেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আলতা হল রোডের চিল রেস্টুরেন্টের সামনে একটি দোকানে বসে বিকাশের স্টাফ লেলিন, জুয়েল, কাজলকে নিয়ে তিনি হিসাব করছিলেন। পাশেই বিকাশের একটি অনুষ্ঠান চলছিল। এসময় ছাত্রলীগের কর্মী শরীফ আহমেদ নীরব, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, জুয়েল রানা জিতু, সুমন, সরোয়ারসহ ৮-১০ ‘সন্ত্রাসী’ অতর্কিত হামলা চালায় এবং রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাদের জখম করে। এরপর তাদের কাছে থাকা বিকাশের তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা, ১৫ হাজার টাকা দামের একটি স্মার্টফোন ও হাতঘড়ি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
নাজমুল তরফদারের দাবি, গত পৌর নির্বাচনে পরাজিত এক কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছিল হামলাকারীরা। কিন্তু তার চাচা আব্দুল হক তরফদার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এরপর থেকে তারা নাজমুল ও তার পরিবারকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিচ্ছিল।
নাজমুল তরফদারের মা নাজমা বেগম জানান, সন্ত্রাসীরা নাজমুলকে পিটিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল-আমিন হোসাইন শিবলু জাগো নিউজকে বলেন, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কেউ নয়, তাদের কোনো পদ-পদবি নেই। তারা ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসী। তাদের অপকর্মের দায় ছাত্রলীগ নেবে না।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর রকিবুল হক জাগো নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি।
এএইচ/এমএস