ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

‘১৩ কার্যদিবসে ধর্ষণ মামলার রায় নজিরবিহীন’

জেলা প্রতিনিধি | নোয়াখালী | প্রকাশিত: ১০:০৫ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০২১

মাত্র ১৩ কার্যদিবসে ধর্ষণ মামলার রায় যুগান্তকারী ও নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করেছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ ও নির্যাতন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট মো. মামুনুর রশিদ লাবলু।

সোমবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক প্রতিক্রিয়ায় জাগো নিউজকে তিনি এ কথা বলেন।

রায়ে দুই আসামিকে সর্বোচ্চ সাজা (যাবজ্জীবন) কারাদণ্ড প্রদান করায় সন্তোষ প্রকাশ করে মামুনুর রশিদ বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি হিসেবে মামলার সাক্ষী ও তথ্য-উপাত্ত সঠিকভাবে আদালতে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, আইনটি সংশোধন করে ধর্ষণের শাস্তি ক্ষেত্র বিশেষে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু এ মামলার ঘটনা আইন সংশোধনে আগের। তখন এ মামলার সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন থাকায় আমরা সেটাই প্রার্থনা করেছি।

মামুনুর রশিদ আরও বলেন, এ ঘটনায় আরও দুটি মামলা চলমান রয়েছে। পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি জজকোর্ট এবং বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টার আরেকটি মামলা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে চলমান আছে। সেগুলোতেও সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করেন সিনিয়র এ আইনজীবী।

এর আগে সোমবার (৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় আসামি দেলোয়ার হোসেন দেলু ও আবুল কালামের উপস্থিততে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন নোয়াখালী জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জয়নাল আবেদিন।

এতে আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুন। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বাদল।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় গত ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে দেলোয়ার হোসেন ও আবু কালামকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। ওই মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এক পর্যায়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়।

পরে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ১৮ আগস্ট আসামিদের উপস্থিতিতে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

ইকবাল হোসেন মজনু/আরএইচ/এমএস