কালীগঞ্জে ফের প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি
গাজীপুরের কালীগঞ্জে আবারও এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সংঘটিত ওই ডাকাতির ঘটনায় স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকাসহ প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল লুট হয়েছে বলে দাবি প্রবাসী পরিবারের। রোববার আনুমানিক রাত ২টার দিকে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের খাগড়াচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে ওই এলাকায় বেশ কয়েকজন প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে ওইসব ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।
প্রবাসীর বড় ভাই কবির হায়দার জাগো নিউজকে জানান, তার ছোট ভাই মো. মোবারক হোসেন (৪৫) দীর্ঘ ১০/১২ বছর যাবৎ মালয়েশিয়ায় আছেন। বাড়িতে তার স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। রোববার আনুমানিক রাত ২টার দিকে ১০/১২ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল বাড়িতে প্রবেশ করে। পরে মূল কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙে বাড়িতে থাকা প্রবাসীর স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৩৭), তিন কন্যা অন্তরা (১৯), আতসী (১১) ও অর্পাকে (৮) হাত-পা বেঁধে ফেলে। এসময় তাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা, আনুমানিক ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও বিদেশি কাপড়-চোপড় লুট করে নিয়ে যায়।
প্রবাসীর স্ত্রী সুফিয়া খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ডাকাতির ঘটনার পর পর কালীগঞ্জ থানায় ফোন করলেও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে দুপুরে। আর ডাকাতির ঘটনায় মামলা করতে গিয়ে ঘুরতে হচ্ছে। পুলিশ বলছে চুরির মামলা করার জন্য।
স্থানীয়রা জানান, এ নিয়ে ওই এলাকায় বেশকিছু ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনাগুলোর ব্যাপারে থানা পুলিশ ডাকাতির মালামাল উদ্ধার করে দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে এর কোনোটির ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের মামলা না করতে নিরুৎসাহিত করেন। কিন্তু বাস্তবে ডাকাতি হওয়া মালামালতো উদ্ধার হয়ইনি বরং মামলা না নিয়ে ডাকাতদের আটক না করার কারণে ওই এলাকায় ডাকাতের উৎপাত অনেক বেড়েছে।
সূত্র আরও জানায়, উপজেলায় ডাকাতির কোনো ঘটনা ঘটলেই থানা পুলিশ এটাকে সাজানো ঘটনা অথবা চুরি বলে চালিয়ে দেয়ার পায়তারা করে। ফলে প্রকৃত অপরাধীরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর দিনের পর দিন এলাকার সাধারণ মানুষ থাকে ডাকাত আতঙ্কে।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, এটা আসলে ডাকাতি না, হয়েছে চুরি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।
আব্দুর রহমান আরমান/এমজেড/এমএস