লক্ষ্মীপুরে টিকাকেন্দ্রে দুই স্বেচ্ছাসেবককে মারধর
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে দুই স্বেচ্ছাসেবককে মারধর করেছেন করোনার ভ্যাকসিন নিতে আসা এক নারীর আত্মীয়। এর প্রতিবাদে শনিবার (২ অক্টোবর) দুপুর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে টিকা কার্যক্রম। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আহতরা হলেন- সায়মা মোহসিনা ও সুদীপ্ত কর্মকার। তারা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে করোনার টিকাদান বুথে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সদর হাসপাতালে টিকাপ্রত্যাশী নারীরা শনিবার সকাল থেকে টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার জন্য জমায়েত হন। তারা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা গ্রহণ করেন। বেলা ১১টার দিকে মধ্যবয়সী এক নারী লাইনে না দাঁড়িয়ে পুরুষ আত্মীয়ের মাধ্যমে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় রেড ক্রিসেন্টর কর্মীরা তাকে বাধা দেন।
কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দুই কর্মীকে কিল-ঘুষিসহ মারধর করে টিকা না নিয়েই দ্রুত সটকে পড়েন ওই নারীসহ তার আত্মীয়। ঘটনার পর থেকে টিকা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির দলনেতা মো. মোহন বলেন, মানবিক কারণে আমরা স্বেচ্ছায় লোকজনকে টিকা প্রদানে সাহায্য করছি। কিন্তু অনেকে আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন। এ পর্যন্ত চার-পাঁচবার কর্মীরা লাঞ্ছিত হয়েছে।
জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ইউনিট কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার বলেন, আমাদের দুই সদস্যকে মারধর করা হয়েছে। এরপর থেকে আমরা সেবা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এটি বন্ধ থাকবে। আমাদের সদস্যদের নিরাপত্তা পুলিশ দেওয়ার কথা থাকলেও তারা আন্তরিক নয়।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দীন বলেন, খবর পেয়ে সদর হাসপাতাল ও জেলা পরিষদের টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করা হয়েছে। সেখানে এখন থেকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল গাফফার বলেন, ভিড় থাকায় স্বেচ্ছাসেবীরা টিকাপ্রত্যাশীদের নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। বিশৃঙ্খলা এড়ানো ও তাদের নিরাপত্তায় পুলিশ থাকবে।
কাজল কায়েস/এসজে/এএসএম