শরীয়তপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছে সাদা কাশফুল
বালুর মাঠ জুড়ে ফুটেছে সাদা কাশফুল। দেখে মনে হচ্ছে শরতের শ্বেতশুভ্র মেঘ। শহরের কোলাহল ছেড়ে কিছুটা নিজের মতো সময় কাটাতে আর সাদা কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় করছেন সবাই। শরীয়তপুর পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র পূর্ব ধানকা এলাকায় বিশাল বালুর মাঠে ফুটেছে এই কাশফুল।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রকৃতিপ্রেমীরা উপভোগ করছেন দিগন্তজোড়া কাশফুলের সৌন্দর্য। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মেঘের সঙ্গে সূর্যের লুকোচুরিতে শরতের মায়াময় প্রকৃতি যেন সেজেছে ভিন্ন রূপে। আকাশে ধবধবে সাদা মেঘ আর মাটিতে মৃদুমন্দ বাতাসে দোল খাওয়া কাশফুল ছড়াচ্ছে মুগ্ধতা।
কাশফুল দেখতে আসা মাহবুব হাসান মানিক, মো. মহসিন রেজা, মেহেরুন ও হৃদয় বলেন, ‘শুনেছি এখানে কাশফুল ফুটেছে তাই দেখতে এসেছি। কাশফুল সাদা তাই চোখ জুড়িয়ে যায়। দেখে আপ্লুত হয়েছি। কাশফুলের সঙ্গে সেলফি ও ছবিও তুলেছি।’।
দোকানদার রাসেল বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেলে কাশফুল দেখতে এখানে অনেক মানুষ জড়ো হয়। তাতে আমার বেচা-বিক্রি বেড়েছে।’
শরীয়তপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুরাদ হোসেন মুন্সী জানান, একটা সময় ছিল যখন শহরের মানুষকে কাশফুল দেখতে হলে গ্রামে গিয়ে নদীর পাড়ে যেতে হতো। কিন্তু বর্তমানের চিত্র ভিন্ন। শহরের মানুষ শহরেই সুন্দর কাশফুল দেখতে পায়। শহরের পুকুর, দীঘি, ডোবা-নালা ভরাট হচ্ছে। নতুন নতুন ভবন নির্মাণ হচ্ছে। আর এই ভরাট করা হচ্ছে নদীর বালু ড্রেজিং পদ্ধতির মাধ্যমে। নদীর এই বালুর সঙ্গে শহরে চলে আসছে কাশফুলের বীজ। সেই বীজ থেকে এই শরতে হচ্ছে কাশফুলের বাগান।
তিনি আরও বলেন, ‘শহরের মানুষের জন্য কাশফুল দেখা সৌভাগ্যের বিষয়। যদিও এটা অস্থায়ী। তবুও কাশফুল দেখা নতুন প্রজন্মের জন্য আনন্দের ব্যাপার। সব শ্রেণির মানুষ কাশফুল দেখে দারুণভাবে উপভোগ করছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম প্রতিদিন বিকেলে শহরের কোলাহল থেকে একটু প্রশান্তি পেতে এই স্পটে আসে। ছবি, সেলফি তোলে এবং ভিডিওচিত্র নির্মাণ করে। বর্তমানে শরীয়তপুর শহরের এই কাশফুল আমাদের শিশু সন্তানদের মানসিক ও শারীরিক সুখ শান্তি বৃদ্ধি করছে।’
‘বিডি ক্লিন’ নামে সংগঠনের জেলা সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, ‘শরতকালে নৌপথে আমরা যদি কোথাও যেতাম তখন নদীর দুপাশে কাশফুল দেখতে পেতাম। কালের বিবর্তনে সেই কাশফুল হারিয়ে গেলেও সম্প্রতি শরীয়তপুরের প্রাণকেন্দ্র পূর্ব ধানকা এলাকায় দেখা যায় কাশফুল। মনোরম পরিবেশে শিশু থেকে বৃদ্ধ মানুষ এখানে আশে ঘুরতে। মন ভালো করতে সেলফি, ছবি তোলে।’
মো. ছগির হোসেন/এফআরএম/এমএস