ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কক্সবাজারে পরিবেশ’র মামলায় ৬২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

জেলা প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ০৩:৫৪ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫

কক্সবাজারে বিভিন্নভাবে পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগে দায়ের করা ৯ মামলায় গণফোরামের জেলা সভাপতি, পৌর বিএনপির সভাপতি ও কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

রোববার চট্টগ্রাম পরিবেশ আদালতে প্রতিবেদনগুলো জমাদেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম।

চার্জশিট দেয়া ৯ মামলার মধ্যে ৪টি পাহাড় কাটা, ২টি পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই আবাসিক হোটেল পরিচালনা এবং ২টি প্যারাবন কাটার অভিযোগে দায়ের করা। বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম পরিবেশ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মুহাম্মদ  বদরুল আলা বলেন, শীতকালীন অধিবেশনের কারণে বর্তমানে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অভিযোগপত্রগুলো নথিভুক্ত করা হয়নি। অভিযোগ পত্রের ভুল-ভ্রান্তি পর্যালোচনা করে চার্জ গঠনের জন্য আগামী কার্য দিবসে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

পরিবেশ অধিদফতর সূত্র জানায়, কক্সবাজার শহরের বাকঁখালী নদীর তীরে প্যারাবন কাটার অভিযোগে দুইটি মামলায় ৩ জনকে, শহরের কলাতলী ও পার্বত্য এলাকা বান্দরবান জেলার লামায় পাহাড় কাটার অভিযোগে চার মামলায় কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন মুজিবুর রহমানসহ ৫৫ জনকে আসামি এবং অবস্থানগত পরিবেশ ছাড়পত্র না নিয়ে আবাসিক হোটেল ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগে গণফোরামের জেলা সভাপতি ও হোটেল কলে­ালের স্বত্বাধিকারী ইদ্রিস আহম্মদ, ব্যবস্থাপক মো. শহিদুল রহমান সোহেল এবং কক্সবাজার পৌর  বিএনপির সভাপতি ও হোটেল বানু প্লাজার স্বত্বাধিকারী রফিকুল হুদা চৌধুরী, ব্যবস্থাপক শাহানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলাগুলোর তদন্ত কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম জানান, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষ থেকে মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছিল। দীর্ঘ তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রোববার আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর।

মামলার বাদী অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক, বর্তমানে ঢাকা অফিসে কর্মরত সাইফুল আশ্রাফ বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও মামলাগুলোর প্রতিবেদন আদালতে দেয়ায় বাদী হিসাবে আমি সন্তুষ্ট।

তবে ভিন্ন কথা বললেন এক মামলার আসামি কক্সবাজার পৌর  বিএনপির সভাপতি ও হোটেল বানু প্লাজার মালিক রফিকুল হুদা চৌধুরী।

তিনি বলেন, হোটেল ব্যবসা পরিচালনার জন্য সরকারকে রাজস্ব দিয়ে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু পরিবেশ অধিদফতর ছাড়পত্র না দিয়ে উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তাই বিষয়টি নিয়ে ন্যায় বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে যাব।

সায়ীদ আলমগীর/এমএএস/আরআইপি