সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে সুনামগঞ্জ পৌর শহর
চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ঠেকাতে সুনামগঞ্জ পৌরসভার সবকটি সড়ক সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে ২০টিরও বেশি এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাছননগর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বাবলুর রহমানের বাসায় সম্প্রতি দিনে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কোনো চোরকে এখন পর্যন্ত আটক করা যায়নি। এছাড়া পৌর শহরের ঘরের টিনের চাল খুলে শহরের স্টেশন রোডের বৃষ্টি টেলিকম, মুক্তারপাড়ার মাই টেলিকমে চুরি হয়।
এ দোকানগুলো থেকে কয়েক লাখ টাকার মালপত্র নিয়ে যায় চোররা। এছাড়া মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা প্রায়ই ঘটছে বিভিন্ন আবাসিক এলাকায়। এসব চুরিও ঠেকানো যাচ্ছে না। এ অবস্থায় সুনামগঞ্জ পুলিশ চুরি, ছিনতাই, বখাটেপনা ঠেকাতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও চত্বরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার কাজ শুরু করেছে।
পৌর শহরের স্থানীয় বাসিন্দা রফিক আহমেদ বলেন, শহরে দিন দিন চুরি বেড়েই চলছে, কিন্তু চোরকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এজন্য পুরো শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। আশা করি এখন চোরদের শনাক্ত করা যাবে।
পৌর শহরের জুয়েলার্সের মালিক বিপ্লব বণিক জাগো নিউজকে বলেন, কিছুদিন আগে আমার দোকানে চুরি হয়েছিল। চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে পুলিশ শহরের প্রত্যেক জায়গায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করছেন। পুলিশের এ উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি।
সুনামগঞ্জ সচেতন কমিটি সনাকের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট খলিল রহমান জাগো নিউজকে বলেন, পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। আমরা মনে করি এটি খুব ভালো উদ্যোগ। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
ক্যামেরা স্থাপনের কাজে নিয়োজিত আরএনপি টেকনোলজির পরিচালক রাজীব দাস জাগো নিউজকে বলেন, এরইমধ্যে সুনামগঞ্জ শহরের আলফাত স্কয়ার, আব্দুজ জহুর সেতু, ওয়েজখালী পয়েন্ট, জলিলপুর পয়েন্ট এবং পুলিশ লাইনের সামনের সড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শেষ করা হয়েছে। এসব পয়েন্টে স্থাপন করা ক্যামেরা ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, সিসি ক্যামেরাগুলো সুনামগঞ্জ সদর থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষ ও ওসির কক্ষ থেকে মনিটরিং করা হবে। এলাকায় বখাটেপনা, উত্ত্যক্তকরণ রোধ এবং কিশোর গ্যাং চিহ্নিত করতেও এই সিসি ক্যামেরা কাজে লাগবে।
লিপসন আহমেদ/এসজে/এএসএম