ঝিনাইদহে ওএমএসের চাল-আটা বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ
ঝিনাইদহে ওপেন মার্কেট সেলের (ওএমএস) আটা-চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় শহরের জামতলা এলাকার মহিউদ্দিন আহম্মেদের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে।
জেলা খাদ্য বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, শহরে ১৩ ডিলার সপ্তাহে তিন দিন করে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি করছেন। ডিলার প্রতি চাল ও আটার বরাদ্দ দুই হাজার ৩০০ কেজি। এ বরাদ্দ ভাগ করে তিন দিনে বিক্রি করার নিয়ম রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য উপজেলায় ডিলার রয়েছে ১৮ জন।
জনপ্রতি ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রির কথা থাকলেও দুই টাকা বেশি বিক্রি করছে এক ডিলার। তার বিরুদ্ধে গোপনে বিক্রির মতো অভিযোগও রয়েছে। এ অভিযোগে মহিউদ্দিন নামের ডিলারের বিরুদ্ধে অনিয়ম মেলায় তার ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিলার মহিউদ্দিন আহম্মেদ জানান, খুচরা টাকা না থাকায় অনেক সময় দু-এক টাকা বেশি নেয়া হয়। কিন্তু এটি সব সময় না। তবে অভিযোগ অস্বীকার অন্য ডিলাররা বলেন, সরকার নির্ধারিত দামেই চাল-আটা বিক্রি করা হচ্ছে। কোনো অনিয়ম করছি না।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মণ্ডল বলেন, গেল দুই-তিন মাস ধরে খাদ্য বিভাগের চাল-আটা বিক্রি করা ওএমএসের কিছু ডিলারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করে আসছিলেন স্থানীয়রা।
ভারপ্রাপ্ত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেখ আনোয়ারুল করিম জানান, ডিলার মহিউদ্দিনকে কারণ দর্শনো নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তার ডিলারশিপ বাতিল করে খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান জানান, মনিটরিং টিমের রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে অফিসাররা ওএমএস বিক্রয় পয়েন্টে বসে থেকে বিক্রয় কার্যক্রম তদারকি করছেন।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/আরএইচ/এমএস