স্কুল খোলার ঘোষণায় ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জিপাড়ায়
দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়া হচ্ছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণায় শিশুদের নতুন ইউনিফর্ম বানানোর হিড়িক পড়েছে। এতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জিপাড়ার কারিগররা।
দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাড়ন্ত শিশুদের ইউনিফর্ম ছোট হয়ে গেছে। তাই স্কুল খোলার ঘোষণায় অভিভাবকরা ছুটছেন নতুন ইউনিফর্ম বানাতে। একই চিত্র দেখা গেছে জামালপুরে।
মিলন মাহমুদ নামের এক অভিভাবক জাগো নিউজকে বলেন, করোনা শুরুর আগে ২০২০ সালে দিশারী কিন্ডারগার্টেনের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল তার ছেলে ঈশান মাহমুদ। এখন সে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। সরিষাবাড়ী পৌরসভার কামরাবাদ এলাকায় তার বাসা। স্কুল বন্ধ থাকায় দুই বছরে ছেলে অনেক লম্বা হয়ে গেছে, স্বাস্থ্যও একটু ভালো হয়েছে। এখন আর আগের স্কুলড্রেস শরীরে হয় না। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খোলার ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গে ছেলের ইউনিফর্ম বের করে দেখে, শার্ট আঁটোসাঁটো হয়ে গেছে। প্যান্ট কোমর পর্যন্ত আসছে না, জুতা জোড়াও পায়ে ঢুকছে না।
অভিভাবক রফিকুল আকন্দ বলেন, মেয়েকে এ বছর স্কুলে ভর্তি করাবো। তার জন্য ইউনিফর্ম বানানোর চিন্তা করছি।
দর্জি শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে, প্রতিদিনি বাচ্চাদের ইউনিফর্ম বানানোর অর্ডার বাড়ছে। তবে স্কুল খোলার পর এ সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।
সরিষাবাড়ী পৌরসভার ন্যাশনাল টেইলার্সের শামীম তরফদার বলেন, আমিই এ বাজারে ছেলেমেয়েদের ইউনিফর্ম সবচেয়ে বেশি বানাই। করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণার পর থেকে ইউনিফর্ম বানানোর অর্ডার আসছে। এ সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
এসআর/জেআইএম