ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

১০-১৫ ট্রাক মাটি ফেলে দুই লাখ টাকা বিল তুললেন আ.লীগ নেতা

জেলা প্রতিনিধি | টাঙ্গাইল | প্রকাশিত: ০৬:০২ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১

টাঙ্গাইলে কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচি প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই নেতা রাস্তা সংস্কারকাজের সভাপতি ও দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণকান্ত দে সরকার।

সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) প্রকল্প কর্মসূচির আওতায় তৃতীয় ধাপে উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের হিংগানগর গ্রামের তনু ব্যাপারীর বাড়ি থেকে বিন্দুরিয়া এলাকার মোসা মিয়ার দোকান পর্যন্ত দুই লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তা সংস্কারকাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এ প্রকল্পে আটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণকান্ত দে সরকারকে সভাপতি ও জ্ঞানেন্দ্র নাথ দে-কে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে বলা হয়। কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির অধীনে গত ৩ জুন এ কাজটিও পান তারা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটির একটি জায়গায় নামেমাত্র ১০-১৫ ট্রাক মাটি ফেলেই প্রকল্পের পুরো টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ করে টাকা উত্তোলনের নিয়ম থাকলেও প্রকল্প অফিসের যোগসাজশে কাজ শেষ হওয়ার আগেই টাকা তুলে নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

jagonews24

স্থানীয় আব্দুল আলিম বলেন, এ প্রকল্পের কাজে আমাদের বাড়ির সামনে থেকে মোসা মিয়ার দোকান পর্যন্ত মাটি ভরাটের কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পের সদস্যরা শুধু মসজিদের সামনে মাত্র কয়েক ট্রাক মাটি ফেলেছেন। মসজিদের সামনে ছাড়া সড়কটির কোথাও তারা মাটি ফেলেননি। এখন শুনেছি প্রকল্পের পুরো টাকাই তারা উত্তোলন করেছেন।

বাদশা মিয়া নামের আরেকজন বলেন, সড়কটিতে ২৫-৩০ বছর ধরে মাটি ফেলা হয় না। এ কারণে সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। শুনেছি সড়কে মাটি ফেলার কাজ এসেছিল। তবে সংশ্লিষ্টরা শুধু এক জায়গায় কয়েক গাড়ি মাটি ফেলে চলে গেছেন।

জানতে চাইলে প্রকল্পের সদস্য করিম মোল্লা জাগো নিউজকে বলেন, আমি কমিটির সদস্য কি না বিষয়টি আমার জানা নেই। কবে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে সেটাও আমি জানি না।

jagonews24

প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক জ্ঞানেন্দ্র নাথ দে বলেন, প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করিনি। টাকাগুলো প্রকল্পের সভাপতি কৃষ্ণ কান্ত দে সরকারের কাছে রয়েছে। অপেক্ষা করেন, কাজ হবে। আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

কাজ শেষ না করে টাকা উত্তোলনের কোনো নিয়ম নেই স্বীকার করে প্রকল্পের সভাপতি কৃষ্ণ কান্ত দে সরকার বলেন, জুনের মধ্যে টাকা তুলতে হবে। এই সময়ে টাকা না তুললে বিল আটকে যেতে পারে। এজন্য আমি কাজ চলমান দেখিয়ে ওই টাকা উত্তোলন করেছি। বৃষ্টির কারণে কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃষ্টি শেষ হলেই কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।

jagonews24

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাশেদুল হাসানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা আক্তার বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরিফ উর রহমান টগর/এসআর/এএসএম