জামালপুরে পানির নিচে সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমির ফসল
জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢল আর গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে জেলার নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ী ও বকশীগঞ্জে বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে পাঁচ উপজেলায় ১৭টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ২৫-৩০ হাজার মানুষ। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ, কাঁচা-পাকা সড়ক ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। নদীভাঙনে কিছু বসতবাড়িও নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাইদ জাগো নিউজকে জানান, গত ছয় ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সাত সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এটি সর্বোচ্চ ৫০ সেন্টিমিটার বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আবহাওয়ার পুর্বাভাস অনুযায়ী যমুনার পানি আরও দু-একদিন একটু একটু করে বাড়বে। তবে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচে অবস্থান করছে। ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ নিম্নাঞ্চল হওয়ায় এ দুই উপজেলার মানুষ বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কিছু কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে, সেখানে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে পানি নামার সময় কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিতে পারে।
জেলা কৃষি উপ-পরিচালক নিতাই চন্দ্র বণিক জানান, জেলার তিন হাজার ৫৫০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। যদি পানি আরও কিছুদিন বাড়তে থাকে তবে দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর ও সরিষাবাড়ী নিম্নাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় ৮৬টি আশ্রয়কেন্দ্র এরই মধ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এসআর/এমএস