দিনভর দুর্ভোগের পর সন্ধ্যায় পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
সিলেটে দিনভর দুর্ভোগের পর সন্ধ্যায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক শেষে প্রত্যাহারের এ ঘোষণা দেন জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে সিলেটে এ ধর্মঘট পালন করেন পরিবহন সংশ্লিষ্ট বাস-মিনিবাস মালিক-শ্রমিকরা। বাস-ট্রাক ধর্মঘটে কার্যত দিনভর অবরুদ্ধ ছিল সিলেট। এতে চরম বিপাকে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। আগে থেকে ধর্মঘটের খবর না জানায় পরিবার-পরিজন নিয়ে টার্মিনালে এসে বিপাকে পড়তে দেখা যায় অনেককে। এভাবে দিনভর দুভোগ পোহান সাধারণ মানুষ।
বিকেলে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বাস-ট্রাক শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শ্রমিক নেতা সেলিম আহমদ ফলিক বলেন, প্রশাসনের আশ্বাস ও বিজয় দিবসের কারণে ধর্মঘট আপাতত প্রত্যাহার করেছি। এই সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে পুনরায় আমরা ধর্মঘট পালন করবো।
বিভাগীয় কমিশনরার জামাল উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান, সিলেট জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন, পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাকে, সিটি মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক প্রমুখ।
সিলেটের বিভিন্ন সড়কে পুলিশি হয়রানি ও শ্রমিকদের নির্যাতন করা ও অতিরিক্ত টোল আদায়ের প্রতিবাদে এ ধর্মঘট আহ্বান করে পরিবহন শ্রমিকরা।
ট্রাক শ্রমিকরা পাঁচ দফা দাবিতে রোববার থেকে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছিল। এর মধ্যে গত সোমবার গভীর রাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের তাড়িয়ে দেয়। এ কারণে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আরোও উত্তপ্ত হয়ে ওঠেন।
এর প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপ এবং জেলা ট্রাক ও পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাকর্মীরা নগরীর প্রবেশমুখ হুমায়ূন রশীদ চত্বরে জড়ো হয়ে রাস্তায় অবস্থান করে বিক্ষোভ করেন। ফলে ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুরে সিলেটে এক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবিতে রোববার থেকে সিলেট বিভাগে অনির্দিষ্টকালের ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান ধর্মঘটের ডাক দেয় শ্রমিক ইউনিয়ন।
ছামির মাহমুদ/এআরএ/আরআইপি