ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জীবিত থেকেও মৃত পটুয়াখালীর ১২ ব্যক্তি, বন্ধ বয়স্কভাতাও

জেলা প্রতিনিধি | পটুয়াখালী | প্রকাশিত: ১১:২৬ এএম, ২৯ আগস্ট ২০২১

পটুয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলার এ পর্যন্ত ১২ ব্যক্তি জীবিত থাকার পরও নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজে তারা এখন মৃত। এরমধ্যে মির্জাগঞ্জ উপজেলার আটজন, বাউফলের দুজন, গলাচিপার একজন এবং দুমকির একজন ভুক্তভোগী রয়েছেন। এতে সরকারি সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ ১২ জন পৃথক সময়ে বয়স্কভাতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। কিন্তু সমাজসেবা অধিদপ্তরে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) আওতায় ভাতাভোগীদের তথ্য যাচাইয়ের সময় দেখা দেয় বিপত্তি। জীবিত থেকেও নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজে তাদের মৃত দেখানোয় বন্ধ হয়ে যায় ভাতা।

বেঁচে থেকেও ভোটার তালিকায় মৃত মির্জাগঞ্জ উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের মজিদবাড়িয়া গ্রামের বৃদ্ধ আবদুল ছাত্তার মিয়া। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার বর্তমান বয়স ৮৩ বছর। দুই ছেলে, দুই মেয়ে, নাতি-নাতনি ও স্ত্রীসহ মোট সাত সদস্যের অভাবের সংসার।

২০১৯ সালের জুলাই মাসে বয়স্কভাতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। কোনো জটিলতা ছাড়াই তিনি ভাতা উত্তোলন করেছেন। কিন্তু ২০২০ সালের জুলাই থেকে নতুন করে তথ্য যাচাইয়ের সময় তার ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। কারণ, ভোটার তালিকার হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী তিনি মৃত।

শুধু তিনি নন এই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আরও সাতজন জীবিত থেকেও নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজে মৃত। এতে তাদেরও ভাতা বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে বিষয়টি সংশোধনের জন্য উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের আমেনা বেগম, সমর্তবান বেগম, সোহরাব গোলদার, মাধবখালী ইউনিয়ন হাজেরা বেগম, কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের মো.করিম হাওলাদার, মো. খলিল হাওলাদার, মজিদবাড়িয়া আম্বিয়া বেগম ও আবদুল ছত্তার আবেদন করেছেন।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শীলা রানী দাস বলেন, বিগত বছরগুলোতে ম্যানুয়ালি বয়স্কভাতা দেয়া হতো। তবে সরকার এমআইএস’র মাধ্যমে বয়স্কভাতা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করার পর আমরা যখন এসব ভাতাভোগীদের তথ্য ডাটাবেজে ইনপুট দিচ্ছি, তখন নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজ বলছে এসব ব্যক্তিরা মৃত। এ নিয়ে জেলায় ১২ জনের এ সমস্যা পেয়েছি। সে কারণে তাদের তথ্য দেওয়া যাচ্ছে না। তাই আপাতত ভাতা বন্ধ রয়েছে। তবে এরা যাতে দ্রুত নির্বাচন অফিস থেকে তাদের তথ্য হালনাগাদ করতে পারে, সে জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে আমরা বলে দিয়েছি।

এ বিষয়ে পটুয়াখালীর সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা খান আবি শাহানুর খান বলেন, হালনাগাদ ভোটার তালিকায় কতজনের তথ্যে এমন বিভ্রান্তি রয়েছে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে কোনো উপজেলায় এমনটি ঘটলে সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তথ্য উপাত্ত নিয়ে আবেদন করলে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

আব্দুস সালাম আরিফ/এসজে/এমএস