ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সিলেটে পরিবহন ধর্মঘটে জনদুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: ০৭:০৬ এএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫

৫ দফা দাবিতে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান ধর্মঘট মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে। এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হামলার প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিকরা এ ধর্মঘটের ডাক দেয়।

সকাল ১০টায় দক্ষিণ সুরমায় গিয়ে দেখা গেছে, সিলেটের প্রধান বাস টার্মিনাল কদমতলি থেকে কোনো বাস-মিনিবাস ছেড়ে যাচ্ছে না। সোমবারের মতো আজও ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিকরা হুমায়ন রশিদ চত্বরে ট্রাক আড়াআড়ি করে রেখে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা। সড়ক-মহাসড়কে বন্ধ রয়েছে সবধরনের যান চলাচল। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এমনকি দূরপাল্লার যাত্রীরা বাস না পেয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। আগে থেকে ধর্মঘটের খবর না জানায় পরিবার-পরিজন নিয়ে টার্মিনালে এসে বিপাকে পড়তে দেখা যায় অনেককে।

সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক জাগো নিউজকে জানান, শ্রমিকদের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।

তিনি জানান, সিলেটের বিভিন্ন সড়কে পুলিশি হয়রানি ও শ্রমিকদের নির্যাতন করার পাশাপাশি অতিরিক্ত টোল আদায় করা হচ্ছে। প্রতিটি সড়কে দফায় দফায় টোল দিতে হচ্ছে। এসব বন্ধের দাবিতে গত রোববার ও সোমবার দিনভর ট্রাক ধর্মঘট পালন করা হয়।

ট্রাক ধর্মঘটে রোববার রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হামলা চালিয়ে শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে সোমবার হুমায়ুন রশিদ চত্বরে অবরোধ করে রাখে শ্রমিকরা।

সোমবার সকাল থেকে সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপ এবং জেলা ট্রাক ও পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাকর্মীরা নগরের প্রবেশমুখ হুমায়ূন রশীদ চত্বরে জড়ো হয়ে রাস্তায় অবস্থান করে বিক্ষোভ করেন। ফলে ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. দিলু মিয়া জানান, ট্রাক শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে পাঁচ দফা দাবিতে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছিল। এর মধ্যে গত রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের তাড়িয়ে দেয়। এ কারণে বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছেন। তারা হুমায়ূন রশীদ চত্বরে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

SylhetTrak

তিনি আরও জানান, এ কারণে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ফেডারেশন একাত্মতা ঘোষণা করে পরিবহন ধর্মঘট শুরু করেছেন।

জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি আবুল কাহের ইজু জানান, পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে সিলেট-তামাবিল-জাফলং-বিছনাকান্দি ও শ্রীপুর সড়ক থেকে বাঁশকল উচ্ছেদ, হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ, সিটি, পৌরসভা ও ইউনিয়ন ট্যাক্স বন্ধ, অতিরিক্ত টোল আদায় ও শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ, কোম্পানীগঞ্জ-বিছানাকান্দি সড়কে ডাকাতি বন্ধ এবং গত ১৯ থেকে ২০ বছর ধরে রয়েলিটির নামে আত্মসাত করা কোটি টাকা ফেরত দেয়া।

প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুরে সিলেটে এক সংবাদ সম্মেলনে ৫ দফা দাবিতে রোববার থেকে সিলেট বিভাগে অনির্দিষ্টকালের ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যান ধর্মঘটের ডাক দেয় সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপ এবং জেলা ট্রাক ও পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন।

ছামির মাহমুদ/এসএস/পিআর