বরগুনায় আ.লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ
বরগুনা সদর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কমরুল ইসলাম মহারাজ ও বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাদত হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাদত হোসেনের মেয়ে ও জামাতাসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জামাতা আরিফ খান জানান, সন্ধ্যায় বরগুনা শহরের প্রাশুলির এলাকায় পথসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কামরুল ইসলামের সমর্থকরা হামলা করে। এ ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য বরগুনা সদর রোড়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এ সময় অন্তত চারজন আহত হয়।
এরপর রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাদত হোসেনের ব্যবসায়িক কার্যালয়ের সামনে মেয়ে ও জামাতা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় মহারাজের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেন জানান, সন্ধ্যার দিকে ক্রোক স্লাইজ এলাকায় তার শান্তিপূর্ণ মিছিলে নিষ্ঠুর হামলা চালিয়ে তার অর্ধশত কর্মী ও সমর্থককে আহত করেছে মহারাজের কর্মীরা। এ ঘটনায় তার মেয়ে মিতুল ও জামাতা আরিফ খানসহ একাধিক নারী ও শিশু গুরুতর আহত হয়েছেন।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনার পর শহরের পশ্চিম বরগুনা এলাকায় তার ব্যবসায়িক কার্যালয়ের সামনে মেয়ে ও জামাতা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ও তাদের উপর আবারো হামলা করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন। বর্তমানেও তিনি পৌর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করছেন। গত নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ থেকেই মনোনীত হয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাড. কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, শাহাদাত হোসেনের কর্মী ও সমর্থকরা আমাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় তারা শহরের সোনিয়া সিনেমা হল সংলগ্ন একটি নৌকা প্রতীক ভাঙচুর করে। এতে তার দলীয় কর্মী ও সমর্থকরা আহত হয়।
এ বিষয়ে বরগুনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ হোসেন পিপিএম জানান, সন্ধ্যায় মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন এবং অ্যাড. কামরুল আহসান মহারাজের কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আটক হামলাকারীকে ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, গণরোষের হাত থেকে বাঁচাতে পুলিশ তাকে পিকআপে আটকে রাখে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এআরএ/আরআইপি/বিএ