ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বরিশালে আদালতের কর্মচারী ও আইনজীবীরা মুখোমুখি অবস্থানে

প্রকাশিত: ১০:০৪ এএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫

বরিশাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (চতুর্থ আমলি আদালত) এক পেশকারকে লাঞ্ছিত কারার অভিযোগের জের ধরে কর্মচারী ও আইনজীবীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন।

সোমবার দুপুর ২টার দিকে বিরোধ নিরসনে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ সদস্যদের নিয়ে এক জরুরি সভা করেন।
 
এছাড়া বিষয়টি নিয়ে দুপুর ৩টার দিকে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সম্পাদক, পিপি, জিপির সঙ্গে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বৈঠকের কথা রয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) মাইন উদ্দিন ডিপটি ও অ্যাড. মিজানুর রহমান টিটুর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের চতুর্থ আমলি আদালতের পেশকার মো. মনিরুজ্জামান ।

মামলায় একই আদালতের পেশকার মো. মনিরুজ্জামান তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ করেন।

কোতোয়ালী মডেল থানা পলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আদালতে দায়িত্বরত অবস্থায় মারধর এবং হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন পেশকার মো. মনিরুজ্জামান।

মামলার আরজির বরাত দিয়ে ওসি জানান, রোববার সংশ্লিষ্ট আদালতের এপিপি মাইনউদ্দিন ডিপটির অনুপস্থিতিতে বিচারাধীন একটি মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এপিপি ডিপটি পরে আদালতে এসে পেশকারকে মারধর করে তার গায়ের জামা ছিঁড়ে ফেলেন।

তবে অ্যাড. মাইনউদ্দিন ডিপটি জানান, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর অনুপস্থিতিতে বিচারাধীন মামলার সাক্ষ্য নেয়ার বিধান নেই। পেশকার মনিরুজ্জামান টাকা খেয়ে আদালতের বিধান ভঙ করায় তিনি এর কারণ জানতে চাইলে উল্টো তাকে মারধরের চেষ্টা চালায় পেশকার। এ সময় অন্যান্য আইনজীবীরা তাকে রক্ষা করেন।

এদিকে, এ ঘটনায় আদালতের কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানাতে সোমবার সকাল ১০টার দিকে একত্রিত হন। এ সময় ২০/২৫ জন আইনজীবী ধর-ধর বলে চিৎকার দিয়ে চতুর্থ আদালতের ভিতর ঢুকে পড়েন তারা। এ সময় আদালতের জারিকারক মোখলেসুরর রহমানকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে আদালতের কর্মচারীরা অভিযোগ করেন।

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির সুমন জানান, তিনি বিচারকের কক্ষে ছিলেন। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে কক্ষ থেকে বের হয়ে দেখেন সেখানে কিছু আইনজীবী হট্টগোল করছে।

এ প্রসঙ্গে জেলা আইনজীবী সমিতির সম্পাদক কাজী মনিরুল হাসান জানান, বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বিচারকরা দুপর ৩টায় তাদের (আইনজীবী) সঙ্গে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

সাইফ আমীন/এআরএ/পিআর