বারি-৭ প্রতি মণ ৭ হাজার টাকা!
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার মৌসুমের শুরু থেকে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে বারি-৭ জাতের আম। দুইদিন ধরে প্রতি মণ আম বিক্রি হচ্ছে সাত হাজার থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকায়। ভালো দাম পেয়ে খুশি আমচাষিরা। জেলার আমবাজার ঘুরে এবং চাষিদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বারী-৭ জাতের আমের দাম সবচেয়ে বেশি।
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) সকালে জেলার প্রধান আমবাজার কানসাটে গিয়ে দেখা যায়, গাঢ় লাল রঙের এক ভ্যানে (দুই ডালি) আম নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন হামিদুর রহমান। নতুন জাতের আম হওয়ায় নাম অনেকে জানে না। বিক্রেতাকে আমের নাম জিজ্ঞাসা করতে জানান, আমের নাম ‘বারি সেভেন’। দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতি মণ আম বিক্রি করছেন সাত হাজার থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকায়।
হামিদুর রহমান জানান, তাদের ভোলাহাট উপজেলার বড়গাছী এলাকায় ফজলি, আশ্বিনা, গুটিসহ বিভিন্ন জাতের বাপ-দাদার লাগানো আমের বাগান ছিল। সাড়ে পাঁচ বিঘা পুরাতন বাগান কেটে ফেলে তিন বছর আগে বারি-৭ আমের গাছ লাগান। সেই গাছগুলোতে এখন আম এসেছে। একেকটি গাছে এক থেকে দেড় মণ আম ধরছে। আমগুলো দেখতে চমৎকার এবং খেতেও সুস্বাদু। ফলে দামও অন্য আমের চেয়ে বেশি।
শফিকুল নামের এক ব্যবসায়ী জাগো নিউজকে বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে দুই ডালি আম নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। দাম কম বলায় বিক্রি করছি না। গতবছর এ জাতের আম বিক্রি করেছি আট থেকে ১০ হাজার টাকা মণ দরে। কিন্তু এবার দাম বলছে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা ‘
তিনি জানালেন, অন্য আমের তুলনায় বারি-৭ জাতের দাম অনেক বেশি। তার বাগানে এবার এ জাতের প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মণ আম আছে। কানসাটে আম বিক্রি করতে আসা আতিক নামের এক ব্যবসায়ী জানান, তিনি বাজারে এক ডালি বারি-৭ ও দুই ডালি আশ্বিনা জাতের আম নিয়ে এসেছেন। সকালে বারি-৭ জাতের আম বিক্রি হয়ে গেছে। তবে ১২টা বাজতে চললেও আশ্বিনা আম বিক্রি হচ্ছে না।
কানসাট বাজার আম আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক উমর ফারুক টিপু জানান, এই বাজারে এখন আশ্বিনা, বারি-৪,বারি-৭, গুটি ও আশ্বিনা জাতের আম পাওয়া যাচ্ছে। তবে কানসাট বাজারে আশ্বিনা ছাড়া অন্য আম কম থাকায় এসব আমের দাম বেশি। আর বারি-৭, বারি-৪ জাতের আম খুবই কম। তাই এখন ব্যবসায়ীরা এসব আম চাষে ঝুঁকছেন।
সোহান মাহমুদ/এসআর/এমকেএইচ