ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কুষ্টিয়া আ.লীগের মেয়র প্রার্থীসহ ১০ জনকে বহিষ্কার

জেলা প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ০৭:১৫ এএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে কুষ্টিয়ার পাঁচ পৌরসভায় মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন পাঁচ প্রার্থী। এবারের পৌরসভা নির্বাচনে পাঁচ পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন ২০ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সদর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও ২০ দলীয় জোটের একক প্রার্থী থাকায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে জানিয়েছেন ভোটাররা।

এদিকে, কুমারখালী ও খোকসায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আওয়ামী লীগের মেয়র পদের তিন বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ১০ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সদর পৌরসভা আওয়ামী লীগে মনোনীত প্রার্থী আনোয়ার আলী, বিএনপিতে দলের মনোনীত প্রার্থী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি।

বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সদর উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বশিরুল আলম ওরফে চাঁদ ও জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসীন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

মিরপুর থানায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এনামুল হক, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল আজিজ খান, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মিরপুর ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান, বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলামের স্ত্রী নাসরিন ফেরদৌস, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাহার আলী, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আবুল হাশেম নাম প্রত্যাহার করেননি।

ভেড়ামারায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীমুল ইসলাম ওরফে ছানা, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ২০ দলীয় জোটের ভেড়ামারা উপজেলা জাতীয় পার্টির (জাফর) সভাপতি মহিউদ্দিন বানাত, জাসদের মনোনীত প্রার্থী জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম স্বপন।

নাম প্রত্যাহার করেছেন, বিএনপির বিদ্রোহী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ওরফে ডাবলু ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম রেজা। কুমারখালী আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র সামসুজ্জামান অরুণ।

বিএনপি মনোনীত উপজেলা বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ওরফে লিপন, জাতীয় পার্টির আবুল কালাম, জাসদের আবজাল হোসেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাকারিয়া খান ওরফে জেমস খান। তবে কেউ নাম প্রত্যাহার করেননি।

খোকসায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, বিএনপির যুবনেতা রাজু আহমেদ, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আল মাসুম মোর্শেদ, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আলাউদ্দীন পিল্টু। নাম প্রত্যাহার করেছেন শুধুমাত্র বিএনপি নেতা আনিসুজ্জামান।

এদিকে, পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে গণসংযোগ এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কুষ্টিয়া কুমারখালী পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাকারিয়া খান জেমসসহ ছয়জন এবং খোকসা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আল মাসুম মোর্শেদ ও আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী আলাউদ্দীন পিল্টুসহ চারজনসহ মোট ১০ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে স্ব স্ব উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে এ সিন্ধান্ত জানানো হয়।  

কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান জাগো নিউজকে জানান, তারা এই নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। এবং নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আল-মামুন সাগর/এমজেড/পিআর