ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

এক যুগ ধরে বন্ধ ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল

প্রকাশিত: ১১:০৭ এএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫

নির্মিত হওয়ার একযুগেও পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হয়নি ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। সবধরনের সুব্যবস্থা থাকলেও রোদ-বৃষ্টিতে কষ্ট করে যাত্রীদের রাস্তা থেকেই উঠতে হয় বাসে। ফলে পরিত্যাক্ত এ টার্মিনালটি এখন মাদকসেবীসহ নানা অপকর্মের আস্তানায় পরিণত হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও জেলার একমাত্র কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটিতে বসার ব্যবস্থা, ক্যান্টিন, টয়লেট ও নামাজের সুব্যবস্থাসহ রয়েছে সবধরনের সুবিধা। কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে দীর্ঘ ১২ বছরেও টার্মিনালটি চালু না হওয়ায় পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। দু’একটি নষ্ট যানবাহন টার্মিনালের ভেতরে ফেলে রাখা ছাড়া আর কোনো কাজেই আসছে না টার্মিনালটি। বহিরাগতদের প্রবেশে এখন মাদকসেবী ও অসামাজিক কার্যকলাপের আস্তানায় পরিণত হয়েছে।

আর যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ে রাস্তা থেকেই বাসে উঠে যাচ্ছেন গন্তব্যস্থলে। অপরদিকে, ট্রাক টার্মিনাল না থাকায় যত্রতত্র সড়কে রাখা হচ্ছে ট্রাক। তাই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এছাড়া শহরের ভেতরে ঢাকাগামী বাস যত্রতত্র পার্কিংয়ে যানজট লেগেই রয়েছে।
 
যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে টার্মিনালটি ব্যবহার না করায় ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। মালিক সমিতির নির্দেশেই বাইরে কাউন্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। টার্মিনালের ভেতরে যাত্রীদের সুবিধা থাকলেও তা এখন পরিত্যক্ত।

অপরদিকে, যানবাহন চালকরা জানান, আমাদের সুবিধার জন্যই রাস্তার পার্শ্বে গাড়ি পার্কিং করে যাত্রী উঠা নামা করছি এতেই আমাদের সুবিধা বেশি।  

জেলা মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দানেশ আলী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার জাগো নিউজকে জানান, জেলার চার উপজেলা উল্টো পার্শ্বে অবস্থান করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তবুও আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে র্টামিনালটি ব্যবহার করা যায়।

আর জেলা মোটর পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হাবিবুল ইসলাম বাবলু ও সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন জাগো নিউজকে জানান, ইতোমধ্যে টার্মিনালটি ব্যবহারের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দ্রুত টার্মিনালটি চালু করা হবে বলে আশ্বাস দিলেন নেতারা।
   
এ বিষয়ে পৌর মেয়র এসএমএ মঈন জাগো নিউজকে জানান, কয়েক দফা শ্রমিক ইউনিয়ন ও মালিক সমিতি নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক হয়েছে টার্মিনালটি কিভাবে চালু রাখা যায়। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আবার এ বিষয়ে বৈঠক করে টার্মিনালটি চালু করার উদ্যোগ নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার অধীনে ২০০৩ সালে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে প্রায় ৫ বিঘা জমির উপর এলজিইডির তত্ত্বাবধায়নে নির্মিত হয় ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল।

রবিউল এহসান রিপন/এমজেড/পিআর