ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট চালু না হওয়ায় ভোগান্তি

জেলা প্রতিনিধি | ঝালকাঠি | প্রকাশিত: ০৯:৪০ এএম, ০৪ আগস্ট ২০২১

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা না থাকায় করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। এই হাসপাতালের তীব্র শ্বাসকষ্টের রোগীদের পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এতে রোগীদের অতিরিক্ত খরচের পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জানা গেছে, অক্সিজেন সরবরাহের ঘাটতি মেটাতে গত বছরের ২৫ নভেম্বর ১০০ শয্যার ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ শুরু হয়। তিন কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক্সপেক্টা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।

ইতোমধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে ৬ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতার অক্সিজেন ট্যাংক। কিন্তু বর্তমানে ধীরগতিতে চলছে পাইপ স্থাপনের কাজ। শেষ পর্যায়ে এসে সামান্য কিছু কাজ না হওয়ায় অক্সিজেন সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ফলে সিলিন্ডার দিয়ে করোনা রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।

এ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা করোনা রোগীর স্বজন আমির উদ্দিন বলেন, ‘সেন্ট্রাল অক্সিজেন না থাকায় অতিমাত্রার শ্বাসকষ্টের অনেক রোগীদের বরিশাল যেতে বলা হয়।’

আরেক রোগীর স্ত্রী শিমুল আক্তার বলেন, ‘আমার রোগীর জন্য হাসপাতালের বাইরে থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে অক্সিজেন সিলিন্ডার এনেছি।’

সদর হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডে করানো উপসর্গ নিয়ে ভর্তি থাকা রোগীর যতক্ষণ পর্যন্ত র্যাপিড টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত সেই রোগীর বেডে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেয়া হয় না বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে।

jagonews24

এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট আবুয়াল হাসান বলেন, ‘সেন্ট্রাল অক্সিজেন না থাকায় চিকিৎসাসেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।’

ঝলকাঠি সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ শেষ করার জন্য বারবার তাগিদ দেয়া হয়েছে। কাজের ধীরগতির বিষয়টা স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকেও জানানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে এই প্ল্যান্টের অক্সিজেন উৎপাদন চালু না থাকায় প্রতিদিন হাসপাতালের জন্য ২০টি বড় সিলিন্ডারে করে বরিশাল থেকে অক্সিজেন আনতে হচ্ছে।’

এক্সপেক্টা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ঠিকাদার গোলাম মোর্শেদ বলেন, ‘শিগগিরই কাজ শেষ করা হবে। এই প্ল্যান্টের ধারণক্ষমতা ১০ হাজার ৪৩৪ লিটার। এতে একবার লিকুইড (তরল) ভরা হলে তা থেকে উৎপাদিত অক্সিজেন ১০০ জন রোগী তিনমাস ব্যবহার করতে পারবেন।’

মো. আতিকুর রহমান/ইএ/এমকেএইচ