ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রাজশাহীতে গৃহবধূর মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৩:১৯ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৫

রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার কাটাখালি এলাকায় গৃহবধূ হত্যার বিচার দাবিতে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। শনিবার বিকেলে রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ চলাকালীন এলাকাবাসী ওই গৃহবধূ হত্যার বিচার দাবি করেন।

এ ঘটনায় রাস্তার দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। নিহত ওই গৃহবধূর নাম রুকসানা আকতার (১৮)। স্বজনদের দাবি স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা রুকসানাকে হত্যা করেছেন। এ ঘটনার পর থেকে রুকসানার স্বামী রাব্বিল হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন।

রুকসানার বাবা নগরীর মতিহার থানার মাসকাটা দীঘি এলাকার শওকত আলী জাগো নিউজকে জানান, দুই বছর আগে পুঠিয়া উপজেলার জামিরার আগলা গ্রামের বাদল হোসেনের ছেলে রাব্বিলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও পরিবারের লোকজন রুকসানাকে নির্যাতন করতেন।

এর আগেও তাকে নির্যাতন করে মুখে বিষ ঢেলে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সে দফায় রুকসানা প্রাণে বেঁচে যান। রুবেলসহ তার পরিবার আবারও রুকসানার মা-বাবার সঙ্গে মীমাংসা করে নিয়ে যান।
শুক্রবার বিকেলে ওই এলাকায় হৃদয় নামের এক আত্মীয় রুকসানার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এসে দেখে বাড়িতে কেউ নেই। পাশাপাশি রুকসানা যে ঘরে থাকে তার দরজায় সদর থেকে তালাবদ্ধ। হৃদয় তখন আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে তারাও খোঁজাখুঁজি করতে দেখেন ঘরের পেছনের দরজা খোলা এবং রুকসানার মরদেহ ওড়না দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলানো। এরপর হৃদয়ই রুকসানার বাবার বাড়িতে খবর দেন।

খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার পরে পুঠিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে যান। পরে বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে পরিবারের লোকজন মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। স্বজনরা মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করে ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান। পরে পুঠিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থালে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে পুঠিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহরিয়ার আলম জাগো নিউজকে জানান, ঘটনাটি নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়ে গেছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে আসল ঘটনা বোঝা যাবে।

শাহরিয়ার অনতু/এমজেড/আরআইপি