সীমাহীন ভোগান্তি নিয়ে নারায়ণগঞ্জে ফিরেছেন লক্ষাধিক শ্রমিক
করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই শিল্প কারখানা খুলে দেয়ায় সীমাহীন ভোগান্তি নিয়েই কর্মস্থলে ফিরেছেন নারায়ণগঞ্জের কয়েক লক্ষাধিক শ্রমিক। আর্থিক ক্ষতির চেয়েও বেশি শারীরিক ও মানসিক হয়রানির শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
রোববার (১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শিল্পনগরী বিসিক এলাকায় সরেজমিনে বিভিন্ন গার্মেন্টস শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তাদের ভোগান্তির কথা।
পাবনা থেকে আসা মো. সাদ্দাম হোসেন নামে এক গার্মেন্টস শ্রমিক বলেন, বাড়ি থেকে নারায়ণগঞ্জে আসতে ভাড়া লাগে ২৫০-২৬০ টাকা। সেখানে ১৪০০ টাকা দিয়ে সাইনবোর্ড পর্যন্ত এসে দেখি আমার কাছে টাকা নেই। পরে বাড়ি থেকে আরও ৫০০ টাকা বিকাশে নিয়ে সাইনবোর্ড থেকে নারায়ণগঞ্জে এসেছি।’
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকার কথা বলা হলেও হঠাৎ করে ১ আগস্ট কারখানা খুলে দেয়ায় আমাদের কি পরিমাণ কষ্ট হয়েছে সেটা বলার মতো না।
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে আসা নারী শ্রমিক আসমা বলেন, হঠাৎ করে শুনলাম গার্মেন্টস খোলা। ময়মনসিংহ থেকে আসতে ভাড়া নিয়েছে ৮০০ টাকা। সারাদিন দাঁড়িয়ে থেকে আসতে হয়েছে।
আলেয়া নামে আরও এক নারী শ্রমিক জানান, জামালপুর থেকে স্বাভাবিক ভাড়া ৩০০ টাকা হলেও একহাজার টাকা খরচ করে নারায়ণগঞ্জে এসেছি। আমাদের অনেক কষ্ট করে আসতে হয়েছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি এম এ শাহীন বলেন, গণপরিবহন বন্ধ রেখে শ্রমিকদের কাজে ফেরার নির্দেশ দেয়ায় ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি ও সীমাহীন হয়রানিতে ফেলা হয়েছে। যার ক্ষতিপূরণ মালিকপক্ষ ও সরকারকে দিতে হবে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বিসিক শিল্পনগীতে প্রায় ৬৩০ শিল্প কারখানা রয়েছে। যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কয়েক লক্ষাধিক শ্রমিক কাজ করেন। যেহেতু করোনা পরিস্থিতিতে গার্মেন্টস খোলা হয়েছে, শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের ব্যাপারে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এএইচ/এমকেএইচ