সিলেটে রেকর্ড করোনা শনাক্তের দিনে ৭ জনের মৃত্যু
সিলেটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছেই। করোনার বিস্তার রোধে সরকারঘোষিত দ্বিতীয় দফার কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিনে এসে ফের সিলেট বিভাগে একদিনে শনাক্তে নতুন রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে নতুন করে আরও ৭০৮ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ। এদিন করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন আরও সাতজন।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো করোনা বিষয়ক এক প্রতিবেদন থেকে এতথ্য জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরেরর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় জানিয়েছে, সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে সিলেট বিভাগে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩৬ হাজার ৯১৮ জনে। যাদের মধ্যে সিলেট জেলায় ২০ হাজার ৫১২ জন, সুনামগঞ্জে চার হাজার ২০৬ জন, হবিগঞ্জ জেলায় চার হাজার ২৯৩ জন, মৌলভীবাজারে চার হাজার ৮৮২ জন ও সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিন হাজার ২৫ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৭০৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর ৩৫৪ জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। এছাড়া বিভাগে সুনামগঞ্জ জেলার ১২০ জন, হবিগঞ্জের ৬৬ জন ও মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা ১০৬ জন। এছাড়া সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬২ জন রোগীর করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও সাতজন রোগী। এদের মধ্যে ছয়জনই সিলেট জেলার ও একজন হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। এনিয়ে এই বিভাগে করোনা মোট মারা গেলেন ৬৩৮ জন। মৃতদের মধ্যে সিলেট জেলার ৫০৭ জন, সুনামগঞ্জে ৪৭ জন, হবিগঞ্জে ৩০ জন, মৌলভীবাজারের ৫৩ জন ও সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন রয়েছেন।
একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৫ জন। এরমধ্যে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৬ জন, সুনামগঞ্জে ১৫ জন, হবিগঞ্জ জেলার চারজন, মৌলভীবাজারে দুজন ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আটজন রয়েছেন। সব মিলিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৮০ জন। এর মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৫৬ জন, সুনামগঞ্জে ৬৯ জন, হবিগঞ্জে ২৫ জন ও মৌলভীবাজারে ৩০ জন ভর্তি রয়েছেন।
একইদিনে সিলেট বিভাগে নতুন করে আরও ৩৭৭ জন করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন। এরমধ্যে ২৪৬ জন সিলেট জেলার বাসিন্দা। এছাড়া ২১ জন সুনামগঞ্জে, নয়জন হবিগঞ্জে ও ৯৮ জন মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা।
ছামির মাহমুদ/এসআর/এমকেএইচ