ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পদ্মায় তীব্রস্রোত, ফেরি পারাপারে সময় লাগছে দ্বিগুণ

জেলা প্রতিনিধি | মুন্সিগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৮:৪০ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২১

পদ্মায় পানি বৃদ্ধিতে তীব্র স্রোতের কারণে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি পারাপারে সময় লাগছে দ্বিগুণ। একঘণ্টা ২০মিনিটে নদী পাড়ি দিতে সক্ষম ফেরির এখন তীব্র স্রোতের বিপরীতে পাড়ি দিতে সময় লাগছে দুই-আড়াই ঘণ্টা।

শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারগামী ফেরিকে স্রোত এড়িয়ে চলতে গিয়ে নদীতে চার কিলোমিটারের অধিক এলাকা ঘুরতে হচ্ছে। এছাড়া স্রোতের বিপরীতে চলাচলে সক্ষমতা না থাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে এ নৌরুটের বহরে থাকা তিনটি ফেরি।

jagonews24

ফেরি চলাচলে বেশি সময় লাগায় শিমুলিয়াঘাটে ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী যানবাহনকে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়। এতে ঘাট ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের। শনিবার (১৭ জুলাই) দিনব্যাপী এ চিত্র দেখা যায়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়াঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, নৌরুটের বহরে থাকা ১৭টি ফেরির মধ্যে বর্তমানে ১৪টি সচল রয়েছে। এসব ফেরির মধ্যে রয়েছে চারটি রোরো, ছয়টি মিডিয়াম ও চারটি ডাম্ব ফেরি। অপর তিনটি ফেরি বন্ধ রয়েছে।

শনিবার দিনভর শিমুলিয়াঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা শতশত যানবাহন ছাড়াও ঘাটের অভিমুখে ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে রয়েছে চার শতাধিক যানবাহনের অবস্থান।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক(বাণিজ্য) মো. ফয়সাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে জানান, দিনভর পারাপারের পরও ঘাটের পার্কিং ইয়ার্ডে সাড়ে তিনশতাধিক যানবাহন রয়েছে।

jagonews24

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির মেরিন কর্মকর্তা আলী আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘চলতি মাসের শুরু থেকেই নদীতে স্রোত দেখা দেয়। গতবছর এসময় স্রোতের কারণে অনেক ফেরিই চলাচল করতে পারেনি। তবে বর্তমানে ফেরিগুলো চললেও শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারগামী ফেরিগুলোকে চার কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে। স্রোত কাটিয়ে ওঠার সঙ্গে অধিক জায়গা ঘুরে যাওয়ার কারণে সময় লাগছে বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বেশি সময় লাগায় ফেরিতে জ্বালানি তেল খরচ হচ্ছে বেশি। এছাড়া প্রতিকূলতার কারণে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে কয়েকটি ফেরিতে কম যানবাহন নিয়ে নদী পারাপার করতে হচ্ছে।’

এদিকে আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে শনিবারও সকাল থেকে ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের বাড়তি চাপ ছিল। তবে দুপুরের পর তুলনামূলক যাত্রী সংখ্যা কিছুটা কমে আসলেও যানবাহনের চাপ অব্যাহত থাকে। দিনব্যাপী শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারে ১৩টি ফেরি ও ৮৩টি লঞ্চ সচল ছিল বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

আরাফাত রায়হান সাকিব/এসজে/জিকেএস