ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

৭৭ গরু নিয়ে ঢাকার পথে ‘ক্যাটল ট্রেন’

জেলা প্রতিনিধি | চাঁপাইনবাবগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৫:৫২ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২১

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এক বছর পর আবারও ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করলো ‘ক্যাটল ট্রেন’। স্বল্প ভাড়ায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকায় কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য দুটি স্পেশাল ট্রেন চালু করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

শনিবার (১৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় উত্তরাঞ্চলের চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেন দুটি ছেড়ে যায়।

জানা যায়, করোনাকালীন প্রান্তিক খামারিদের উৎসাহ দিতে ও কোরবানির পশু সহজে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য স্বল্পমূল্যে পশু পরিবহনে এ বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য চালু হওয়া ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনের প্রথম যাত্রা এটি। প্রথম যাত্রায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনের ২নং প্লাটফর্মে দুপুর আড়াইটা থেকে চারটি ওয়াগনে গরু ওঠানো শুরু হয়। মোট ৭৭টি গরু ও চারটি ছাগল নিয়ে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে।

শ্রীরামপুরের গরু খামারি শামিম মুন্সি জানান, ট্রেনের ব্রডগেজের দুটি ওয়াগনে ৪০টি গরু নেয়া হয়েছে। প্রতিটি গরুর জন্য ভাড়া নেয়া হয়েছে ৫৯১ টাকা। এতে টাকা কম লেগেছে। এ মুহূর্তে মহাসড়কে যে পরিমাণ যানজট তাতে ট্রাকে পশু বহন করে যথাসময়ে ঢাকা নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।’

jagonews24

টিকরামপুরের আরেক ব্যবসায়ী সামসুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই প্রতিটি ওয়াগনে ২০টি গরু নিয়ে সরাসরি ট্রেনটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাচ্ছে। এতে কোনো বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হবে না। ট্রাকের চাইতে ট্রেনে গরু নিয়ে যাওয়া অনেক সুবিধা। তাছাড়া খরচও অনেক কম পড়েছে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ের সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. ওবাইদুল্লাহ জানান, ক্যাটল ট্রেনে গরু পাঠাতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বাড়াতে বিভিন্ন খামারি ও ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছিল। তারা এতে সাড়া দেয়ায় চারজন খামারি ও ব্যবসায়ীর ৭৭টি গরু ও চারটি ছাগল এ ট্রেনে গেছে। প্রতিটি গরু বহনে ৫৯১ টাকা ও ছাগল বহনে ২৪৬ টাকা করে নেয়া হয়েছে। ৮০টি গরুতে টার্মিনাল চার্জ ও অ্যাডিশনাল চার্জসহ সব মিলিয়ে ৪০ হাজার ২৪৬ টাকা আয় হয়েছে। এতে আগামীতে ট্রেনে পশু পরিবহনে খামারিদের উৎসাহ বাড়বে।’

এসময় রেলস্টেশনে খামারি ও ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করতে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন শিমুল, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মঞ্জুরুল হাফিজ ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান।

সোহান মাহমুদ/এসএমএম/এমকেএইচ