ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সম্পত্তির লোভে হাত-পা বেঁধে ভাইকে নির্যাতন!

প্রকাশিত: ০৬:৪৪ এএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫

নেত্রকোনার আটপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে এক ভাইকে পিটিয়ে হাত পা ভেঙে শিকল দিয়ে বেঁধে চার মাস ধরে নির্যাতন চালাচ্ছেন অপর দুই ভাই। নির্যাতনের শিকার ওই ভাইয়ের নাম নুরুন্নবী (৩২)। তিনি নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার পাকদি গ্রামের মৃত তাজু মিয়ার ছেলে।

নির্যাতনের শিকার নুরুন্নবী জাগো নিউজকে জানান, তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে তালাবদ্ধ করে চার মাস ধরে আটকে রেখে তার জমি সম্পত্তি ভোগদখল করছেন অন্য ভাইরা। আর অন্যদের দাবি, ঝগড়া বিবাদসহ চুরির করার অপরাধে তাকে এভাবে আটকে রাখা হয়েছে।

তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ বলছে বিষয়টি তারা জানেন না। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

হাত পায়ে শিকল দিয়ে তালাবদ্ধ করার পরও প্রায় সময়ই চালানো হয় শারীরিক নির্যাতন। আটক নুরুন্নবী জাগো নিউজকে জানান, তাকে এভাবে আটকে রেখে তার সম্পত্তি ভোগদখল করছেন বড় ভাইরা। যেকোনো মুহূর্তে তাকে তারা মেরে ফেলতে পারেন বলেও নুরুন্নবীর আশঙ্কা।

Netrokona

আর বড় ভাই আলামিন জাগো নিউজকে জানান, ঝগড়া-বিবাদসহ চুরি করার অপরাধে তাকে এভাবে মারধর করে দেড় মাস ধরে আটকে রাখা হয়েছে। আরেক বড় ভাই নূর আলম জাগো নিউজকে জানান, প্রায়ই নুরুন্নবী মোবাইলসহ এটা সেটা চুরি করে। আশপাশের লোকজন তাদের কাছে বিচার নিয়ে আসায় তাকে শিকল দিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

পরিবারের লোকজনের দাবি বিষয়টি পুলিশকে জানালেও কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি পুলিশ। নুরুন্নবীর ভাবি (আলামিনের স্ত্রী) মিনারা বেগম জাগো নিউজকে জানান, কয়েকবার বিষয়টি নিয়ে থানায় গেলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ বলেছে এটা তাদের পারিবারিক বিষয়।

একবার তালা ভেঙে নুরুন্নবী পালিয়ে গেলেও আবার তাকে ধরে এনে তালাবদ্ধ করা হয়েছে বলে জানান তার প্রতিবেশিরা। আটকে রেখে নির্যাতন করার প্রতিবাদ জানালে প্রতিবেশিদেরও দোষারোপ করা হয় হলে জানান গ্রামবাসী।

ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাত্র ২শ` গজ দূরে নূরুন্নবীকে চারমাস ধরে কিভাবে তালাবদ্ধ করে রাখা হলো জানতে চাইলে লুনেশ্বর  ইউপি চেয়ারম্যান এম.জি হায়দার শামীম জাগো নিউজকে জানান, নূরুন্নবীকে নিরাপদে রাখা হয়েছে। তবে এভাবে মারধর করে তালা দিয়ে রাখাও সঠিক নয়।
 
ঘটনা শোনার পর পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে জাগো নিউজকে জানান, নেত্রকোনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,(অপরাধ) খাঁন মো. আবু নাসের। তদন্ত করে দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।

এমজেড/পিআর