‘বড় সাহেব’ ১৮ লাখ ও ‘মাস্টার সাহেব’ ১৬ লাখ চান খামারি
কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ‘বড় সাহেব’ ও ‘মাস্টার সাহেব’ নামের দুটি গরু। এক হাজার ৪০০ কেজি ও এক হাজার ২০০ কেজি ওজনের গরু দুটি বেড়ে উঠেছে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার রসুলপুর গ্রামের প্রবাসী শরীফুজ্জামানের খামারে। দীর্ঘ সময় ধরে তিল তিল করে গরু দুটি বড় করেছেন খামারি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খামারি উপজেলার রসুলপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. খালেকুজ্জামানের বড় ছেলে শরীফুজ্জামান। প্রবাস জীবন শেষে তিনি নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলেন একটি গরুর খামার। এ খামারে ১২টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে এ বছর কোরবানির ঈদ সামনে রেখে এক হাজার ৪০০ কেজি ওজনের ‘বড় সাহেব’ ও এক হাজার ২০০ কেজি ওজনের ‘মাস্টার সাহেব’ দেশীয় উপায়ে বড় করেন। সাদাকালো রঙের ‘বড় সাহেবের’ দাম হাঁকছেন ১৮ লাখ ও কালো রঙের ‘মাস্টার সাহেবের’ দাম হাঁকছেন ১৬ লাখ টাকা।
খামারে ‘বড় সাহেব’ ও ‘মাস্টার সাহেবকে’ দেখতে আসা মো. জহির মিয়া বলেন, লোকমুখে শুনেছি রসুলপুরে একটি খামারে বড় দুটি গরু কোরবানি ঈদের জন্য লালন পালন করেছেন। এ জন্য গরু দুটি দেখতে এসেছি। এর আগে এত বড় গরু আর দেখিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা এমদাদুল হক এমাদ বলেন, প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে ‘বড় সাহেব’ ও ‘মাস্টার সাহেবকে’ দেখতে অসংখ্য মানুষ ভিড় করছে।
এ বিষয়ে খামারি শরীফুজ্জামান বলেন, এবারের কোরবানির ঈদ উপলক্ষে দুই বছর বয়সের দুটি বাচ্চা গরু কিনি। বিদেশি জাতের দুটি বড় গরু ‘বড় সাহেব’ ও ‘মাস্টার সাহেব’ বিক্রির জন্য প্রস্তুত করি। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার ও প্রাকৃতিক ঘাস-খড় খাইয়ে প্রস্তুত করি।
বীর মুক্তিযোদ্ধো মো. খালেকুজ্জামান বলেন, গরু দুটি পরিবারের সদস্যদের মতো করে যত্ন সহকারে লালন পালন করেছেন শরীফুজ্জামান। গরু দুটি কিনতে চাইলে খামারে এসে সরাসরি দেখে কেনার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
এছাড়া ভৈরব উপজেলায় কোরবানি সামনে রেখে দুই হাজার খামারে সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। কঠোর লকডাউন ও চোরাইপথে পাশের দেশ থেকে পশু প্রবেশ নিয়ে শঙ্কিত এখানকার খামারিরা।
ভৈরব উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ভৈরবে কোরবানির পশুর চাহিদা আট হাজারের মতো। এবার এখানকার খামারগুলোতে প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশি গবাদি পশু অতিরিক্ত আছে।
আরএইচ/জেআইএম