লকডাউন শিথিলের আগেই খুলনার সবকিছু ‘শিথিল’
করোনার হটস্পট খ্যাত খুলনায় ২০ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলছে কঠোর লকডাউন। টানা লকডাউনের পরও খুলনায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তের হার কমেনি। দিনদিন করোনার প্রকোপ বাড়লেও সচেতনতাবোধ নেই খুলনার মানুষের মধ্যে। সারাদেশের লকডাউন শিথিলের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে পড়েছে খুলনাবাসী।
করোনায় মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়া গত জুন মাস থেকে খুলনা জেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়। তাতে কাজ না হওয়ায় সরকার সারাদেশেই কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা পালনে বাধ্য করতে পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি নামানো হয় সেনাবাহিনী ও বিজিবি। দুই দফায় লকডাউনের ১৩ তম দিনে লকডাউন শিথিল করার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির এক ঘণ্টার মধ্যেই খুলনা যেন আগের পরিস্থিতিতে ফিরে গেছে। ছোট পরিবহনগুলো সড়কে নেমে আসতে শুরু করেছে। দীর্ঘদিন কোনো পরিবহন পেয়ে লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন তাতে।
নগরীর বসুপাড়া এলাকরা ইজিবাইক চালক আব্দুর রহিম বলেন, এতোদিন রাস্তায় নামতে পারিনি। পরিবার নিয়ে খুব সংকটে রয়েছি। লকডাউনে গাড়ি চালাতে না পারায় অনেক দিন ঠিকমত খেতেও পারিনি। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছি।
নগরীর পিটিআই মোড়, কবরখানা মোড়, রূপসা, নতুনবাজার, ময়লপোতা, পাওয়ার হাউজ মোড়, শান্তিধাম মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় অনেক দোকানপাটও খুলতে দেখা যায়।
এদিকে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতরের হিসাব মতে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে চলতি মাসের ১৩ দিনে খুলনায় পাঁচ শতাধিক মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজারের বেশি মানুষ।
আলমগীর হান্নান/আরএইচ/জিকেএস