ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

‘কালো রংবাজ’ ও ‘বিন্দাস’ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ফিরোজা

জেলা প্রতিনিধি | মানিকগঞ্জ | প্রকাশিত: ১১:১২ এএম, ১৩ জুলাই ২০২১

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দুটি ষাঁড় গরু মোটাতাজা করেছেন গৃহবধূ ফিরোজা বেগম। ভালোবেসে নাম দিয়েছেন কালো রংবাজ ও বিন্দাস। একটির ওজন ২৪ মণ আরেকটির ২৩ মণ। গরু দুটি দেখতে প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে ভিড় করছে মানুষ। কিন্তু ঈদ ঘনিয়ে আসলেও চলমান করোনা পরিস্থিতিতে গরু দুটি বিক্রি করতে পারবেন কি-না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ফিরোজা।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি শাহিপাড়া গ্রামের গৃহবধূ ফিরোজা বেগমের স্বামী প্রবাসে থাকনে। ছেলে মেয়েও ছোট। তাই পশুর হাটে গরু নেয়ার মতো লোকবল নেই তার। এজন্য উপযুক্ত দামে বাড়ি থেকেই বিক্রি করতে চান পশু দুটি।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, খামারে গরুর খাবার প্রস্তুত করছেন ফিরোজা বেগম। ১০ বছরের মেয়ে রুপা আক্তার আর ১৬ বছরের ছেলে আব্দুর রহমানও মায়ের কাজে সহযোগিতা করছেন। হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন গরুকে হাত পাখা দিয়ে বাতাস দিতে। গরুগুলো খামার থেকে বের করে বাড়ির উঠানে নিলে আশপাশের নারী-পুরুষের ভিড় জমে যায় বাড়িতে।

jagonews24

ফিরোজা বেগম জানান, তার বাবার বাড়িতেও গরু লালন-পালন হয়। তাই ছোট বেলা থেকেই খামার সম্পর্কে অভিজ্ঞতা আছে। স্বামীর বাড়িতে তার আগ্রহেই খামার করা হয়েছে। সন্তানের মতো যত্ন করে কালো রংবাজ ও বিন্দাসকে মোটাতাজা করা হয়েছে। গত বছরই গরু দুটি বিক্রি করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু করোনা আর বন্যার কারণে হাটে তুলতে পারেননি।

jagonews24

তিনি আরও জানান, এ বছরও অনেক আশা নিয়ে তিনি ষাঁড় দুটি লালন পালন করছেন। সাধারণ খাবারের পাশাপাশি আপেল, কমলা, মাল্টা, কলা খাইয়ে বড় করেছেন রংবাজ আর বিন্দাসকে। হাটে নয় গরু দুটি বাড়ি থেকেই বিক্রি করতে আগ্রহী ফিরোজা বেগম। তাই ক্রেতার অপেক্ষায় আছেন তিনি। যেভাবেই হোক এবার পশু দুটি তার বিক্রি করতেই হবে। নয়তো পড়তে হবে বড় ধরণের ক্ষতির মুখে।

jagonews24

সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. মনির হোসেন জানান, ‘ফিরোজা বেগমের কালো রঙের ষাঁড় দুটি জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় কোরবানি পশু। প্রাকৃতিক উপায়ে গরু দুটি লালন পালন করা হয়েছে।’

ফিরোজা বেগমের খামারে কালো রংবাজ ও বিন্দাস ছাড়াও রয়েছে প্রায় ৭০ কেজি ওজনের রকি নামের একটি ছাগলও।

বি.এম খোরশেদ/এসজে/এএসএম