প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ : ২ ধর্ষক কারাগারে
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ভিডিওচিত্র মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় গ্রেফতারকৃত দুই ধর্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন, আলাউদ্দিন মিয়া (২৫) ও শাহীন মিয়া (২৬)।
বুধবার দুপুরে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জিনিয়া জাহান বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) ও মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, গ্রেফতারকৃত দুইজনকে রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে মামলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী কন্যার বাবা-মা ঢাকায় দিনমজুরের কাজ করেন। সে পার্শ্ববর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার বড়ডুবি গ্রামের নানির হেফাজতে থাকতো। প্রায় পাঁচ মাস আগে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরী কাউকে কিছু না বলে একা একা তার দাদির বাড়ির দিকে রওনা হয়। পথিমধ্যে টেংরাখালি এলাকায় একা পেয়ে লম্পট আলাউদ্দিন মিয়া ও শাহীন মিয়াসহ ২/৩ জন ওই কিশোরীর পিছু নেন।
কিশোরীটির বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতার বিষয়টি টের পেয়ে ফুসলিয়ে ভালো খাবার দেয়ার প্রলোভনে তাকে পার্শ্ববর্তী নির্জন জায়গায় নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন তারা। পরে ধর্ষকরা তাদের মোবাইলে ধর্ষণের দৃশ্য ধারণ করে তাকে ছেড়ে দেন।
এদিকে, গত এক সপ্তাহ আগে মালিঝিকান্দা ও তিনানী বাজার এলাকায় বিভিন্ন যুবকের মোবাইলে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাঝে দারুণ ক্ষোভের সঞ্চার হয়। বিষয়টি নিয়ে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে প্রশ্ন করা হলে সে সব ঘটনা খুলে বলে। পরে বিষয়টি জেলা পুলিশকে অবহিত করা হলে ভিডিও ফুটেজ দেখে ধর্ষকদের শনাক্ত করে মঙ্গলবার তাদের দু’জনকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় ওই প্রতিবন্ধী মেয়ের নানি বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত দুই ধর্ষকসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইগাতী থানায় ধর্ষণ ও পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
হাকিম বাবুল/এমজেড/এমএস