সরকারের অনলাইন পশুর হাটের গ্রুপে নুরের লকডাউনবিরোধী ভিডিও!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের অনলাইন পশুর হাট গ্রুপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) মো. নুরুল হক নুরের লকডাউনবিরোধী একটি ভিডিও নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। সরকারি কার্যালয়ের একটি গ্রুপে কীভাবে সরকার ও লকডাউনবিরোধী পোস্ট অ্যাপ্রুভ করা হয়, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক সমালোচনার ঝড় বইছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২০ সালের প্রথম দিক থেকেই মহামারি করোনাভাইরাসের থাবা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় করোনার সংক্রমণ এড়াতে কোরবানির ঈদের পশু কেনাবেচার জন্য সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পেজ ও গ্রুপ খোলে প্রতিটি জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। সেই সময় ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন কুরবানীর পশুর হাট’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ চালু করে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। সেই গ্রুপে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে গরু, খাসি, মহিষসহ কোরবানির যোগ্য পশু বিক্রির পোস্ট দেয়া হয়। গত বছরের মতো এ বছরও গ্রুপটির কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর।
কিন্তু চলতি বছর গ্রুপটি যেনতেনভাবে চলছে বলে অভিযোগ। কোরবানির পশু ছাড়াও কিছুদিন ধরে এ গ্রুপে পশু কেনাবেচার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই, এমন পোস্ট দেয়া হচ্ছে।
বুধবার (৮ জুলাই) এই গ্রুপে ঢুকে দেখা যায়, লকডাউনের বিরোধিতা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হকের পেজ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট দেয়া হয়েছে। Md Noman Taj নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্টটি করা হয়েছে। সরকারি কার্যালয়ের একটি গ্রুপে কীভাবে সরকার ও লকডাউনবিরোধী পোস্ট অ্যাপ্রুভ করা হয়, তা নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা চলছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম সাইফুজ্জামান বলেন, ‘গত কোরবানির ঈদ থেকে পশু কেনাবেচার সুবিধার্থে ফেসবুকের এ গ্রুপটি চালু করা হয়েছে। লকডাউনবিরোধী পোস্ট দেয়ার বিষয়টি আমি অবগত নই। এ গ্রুপটি দেখেন নাসিরনগর ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টোক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ইন্সট্রাক্টর ভেটেরিনারি সার্জন ডা. নূরে-আলম।’
জানতে চাইলে ভেটেরিনারি সার্জন ডা. নূরে-আলম বলেন, আমাদের গ্রুপে পোস্ট অ্যাপ্রুভ সিস্টেম চালু নেই। এখনই সিস্টেমটি চালু করা হবে। লকডাউনবিরোধী পোস্টটিও এখনই মুছে দেয়া হবে এবং যিনি পোস্ট দিয়েছেন তাকে ব্লক করে দেয়া হবে। পোস্ট অ্যাপ্রুভের বিষয়ে সতর্ক থাকতে গ্রুপের অন্য অ্যাডমিন ও মডারেটরদের বলে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/জেআইএম