ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ফেনীতে সার্ভার ত্রুটিতে টিকার নিবন্ধনে বিড়ম্বনায় পড়ছেন প্রবাসীরা

জেলা প্রতিনিধি | ফেনী | প্রকাশিত: ০৬:১২ পিএম, ০৫ জুলাই ২০২১

সার্ভার ক্রুটির কারণে ফেনীতে করোনার টিকার নিবন্ধনে ব্যাপক বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন প্রবাসীরা। গত শুক্রবার (২ জুলাই) থেকে জেলার কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হলেও সার্ভার কাজ না করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে প্রবাসীদের অভিযোগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সৌদি আরব এবং কুয়েতগামীদের করোনার ভ্যাকসিন প্রাপ্তির জন্য বিএমইটির ডাটাবেজে নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে ফেনীর পরশুরাম, ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী উপজেলার নিবন্ধনের আবেদনকারীদের শনিবার (৩ জুলাই) এবং দাগনভূঞা, সোনাগাজী ও ফেনী সদর উপজেলার আবেদনকারীদের রোববার (৪ জুলাই) উপস্থিত থাকতে বলা হয়।

feny3

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সৌদি আরব ও কুয়েত গমনেচ্ছুরা টিকার নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সামনে ভিড় জমান। কিন্তু সার্ভার জটিলতায় নিবন্ধন কার্যক্রমে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রবাসীরা।

শুক্র, শনি ও রোববার নিবন্ধনের জন্য কাগজপত্র জমা দিলেও সোমবার (৫ জুলাই) পর্যন্ত কোনো মেসেজ না পেয়ে পুনরায় কর্মসংস্থান অফিসের সামনে জড়ো হন আবেদনকারীরা। আবেদনকারীদের ভিড় সামাল দিতে অফিসটির সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হিমসিম খেতে হয়।

আবদুল আহাদ নামের এক সৌদি প্রবাসী বলেন, শুক্রবার সকালে বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক সব কাগজপত্র অফিসে এসে জমা দেই। সোমবার দুপুর পর্যন্ত কোনো মেসেজ না পেয়ে লকডাউন ভঙ্গ করে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে অফিসে আসি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের কিছু জানানো হচ্ছে না।

feny3

কামাল উদ্দিন নামের আরেক প্রবাসী বলেন, সব ধরনের কাজই তো এখন অনলাইনে করা হচ্ছে। টিকার নিবন্ধন কাজটি অনলাইনে প্রবাসীদের করার সুযোগ দেয়া হলে বিড়ম্বনার প্রশ্ন উঠত না। তারা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ঘরে বসে আবেদন করতে পারতেন।

এদিকে ফেনীর কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীহার কান্তি খিসা বলেন, সার্ভার জটিলতার কারণে ঠিকমতো নিবন্ধন কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না। এর মাঝেও শুক্রবার এক হাজার ২০০, শনিবার এক হাজার ৮০০ ও রোববার এক হাজার ১০০ জনের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

নুর উল্লাহ কায়সার/আরএইচ/এমএস