রাজশাহীতে করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনে অনুমোদন
‘করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল’ হিসেবে যাত্রা শুরুর প্রশাসনিক অনুমোদন পেয়েছে রাজশাহী সদর হাসপাতাল। এসেছে বাজেটও। এই হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেমসহ সাধারণ বেডের পাশাপাশি ১৫টি আইসিইউ বেডও থাকবে।
রোববার (৪ জুলাই) রাতে জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই এটি আমাদের দাবি ছিল। রামেক হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ কমিয়ে আনতে হলে একটি বিশেষায়িত হাসপাতালের প্রয়োজন। সেজন্য মাসখানেক আগে রাজশাহী সদর হাসপাতালকে করোনা হাসপাতালে রুপান্তর করার আবেদন করা হয়েছিল। এ বিষয়ে প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। প্রশাসন আমাদের জানিয়েছে, আপনারা কাজ শুরু করেন। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হবে। সেখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন থাকবে। রিপেয়ারিং কাজ শুরু হয়েছে। আরও দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে সদর হাসপাতালটি ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠবে।’
চিসিৎসক ও নার্সদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে প্রায় ১৫০ জনের মতো রোগীর সঙ্কুলান হতে পারে। প্রতিটি ওয়ার্ডে তিন শিফট মিলিয়ে চিকিৎসক লাগবে দুইজন করে মোট ৬ জন, তিন শিফটে নার্স প্রয়োজন পড়বে ১৫ জন, ওয়ার্ড বয় প্রয়োজন হবে ৯ জন এবং ক্লিনার প্রয়োজন হবে ৯ জন করে। তবে পুরোপুরি কাজ সম্পন্ন না হলে এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২০ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে রাজশাহী সদর হাসপাতাল। অথচ একসময় এই হাসপাতালটিই ছিল এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের একমাত্র চিকিৎসার ভরসা। ১৯০২ সালে ব্রিটিশদের নির্মিত ভবনেই প্রথম শুরু হয়েছিল এর কার্যক্রম। রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেতেন হাসপাতালটিতে। ধীরে ধীরে মেডিসিন, নাক-কান-গলা, হাড় জোড়া এমনকি অপারেশন সেবাও চালু হয় এখানে। যা ১৯৩৮ সালে রূপ পায় সদর হাসপাতালে।
পরে বিভিন্ন কারণে এটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়েভ
তবে বেশ কিছুদিন ধরে রাজশাহীর বিশিষ্টজনেরা দাবি করে আসছেন, হাসপাতালটিকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে না রেখে এটিকে বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা দেয়া হোক এবং রামেক হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ কমিয়ে অন্যান্য সাধারণ রোগীর চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা হোক।
ফয়সাল আহমেদ/এসএস