ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সরাইলে গরুর হাটে উপচেপড়া ভিড়, নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই

জেলা প্রতিনিধি | ব্রাহ্মণবাড়িয়া | প্রকাশিত: ১০:৩৩ এএম, ২৯ জুন ২০২১

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে সরকারঘোষিত ‘সীমিত লকডাউন’ শুরু হয়েছে। এ ‘লকডাউন’ বাস্তবায়নে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় মাঠে ছিল উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন।

যান চলাচল ও দোকানপাট খোলা রাখার বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান চোখে পড়েছে। তবে কঠোরতার মাঝেও জমায়েত করে উপজেলা সদরে বসে সাপ্তাহিক পশুর হাট। হাটে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হলেও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রশাসনকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠলে সোমবার (২৮ জুন) বিকেলে উপজেলা প্রশাসন বাজারটি বন্ধ করতে তৎপর হন। তবে সন্ধ্যা থেকে সড়কে রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বড্ডাপাড়া এলাকায় সপ্তাহে প্রতি সোমবার বসে পশুর হাট। এ হাটে গরু, ছাগল ও মহিষ ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হলেও তা উপেক্ষা করে সোমবার সকাল থেকে সরাইল পশুর হাট জমে ওঠে।

দুপুরের দিকে হাটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পা ফেলার জায়গা নেই। হাটজুড়ে গরু-ছাগল ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হলে হাট বন্ধে তৎপর হয় প্রশাসন।

jagonews24

তবে উপজেলা সদর ও কালিকচ্চ এলাকায় কোনো প্রকার যানবাহন চলতে দেয়নি পুলিশ প্রশাসন। বন্ধ করে দেয়া হয় রিকশা পর্যন্ত। ফলে সাধারণ মানুষ পড়ে দুর্ভোগে।

সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, ‘গরু বাজারের বিষয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। সার্বিক বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে। আমরা নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি।’

জানতে চাই সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল হক মৃদুল বলেন, ‘রোববার থেকেই আমরা মাইকিং করেছি, শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান ও কাঁচাবাজার ছাড়া কোনো দোকানপাট না খুলতে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভিন্ন জায়গায় ১৪ জনকে শাস্তি দিয়েছি। কর্তৃপক্ষকে গরুর হাট বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছি। বাজারের লোকজনকে সরিয়ে দিচ্ছি এবং ইজারাদারদের বলেছি- পরবর্তী নির্দেশনার আগ পর্যন্ত বাজার বন্ধ রাখতে।’

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এএএইচ/এমকেএইচ