সালিশ বৈঠকে কিশোরীকে বিয়ে, চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের নামে মামলা
পটুয়াখালীর বাউফলে সালিশ বৈঠকে কিশোরীকে জোর করে বিয়ে-তালাক ও প্রেমিক যুবককে মারধরের ঘটনায় কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারসহ সাতজনের নামে মামলা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুন) সকালে আহত যুবক রমজান হাওলাদারের বড় ভাই হাফেজ মো. আল ইমরান বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামাল হোসেনের আদালতে মামলাটি করেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. আল আমিন বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জেলা পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) প্রধানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
প্রথমত তিনি নাবালিকা জেনেও জোরপূর্বক বিয়ে করেন। রমজান হাওলাদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা চালান। এ ঘটনা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে ওই কিশোরীকে তালাক দেন।
মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার, তার পাঁচ সহযোগী ও কাজী মাওলানা মো. আইয়ুবকে আসামি করা হয়েছে। আদালতে কিশোরীর জন্ম সনদ ও রমজান হাওলাদারের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে।
আরএইচ/এমকেএইচ