যশোরের সাবেক এমপির বিরুদ্ধে পুত্রবধূ হত্যার অভিযোগ
যশোর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খান টিপু সুলতান ও তার স্ত্রী ডাক্তার জেসমিন আরার বিরুদ্ধে পুত্রবধূ শামারুখ মেহজাবিন সুমিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির ৬ নং রোডের ১৩ নং বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে ধানমন্ডি সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতাল মর্গে তার লাশ রয়েছে। সুমী যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকার প্রকৌশলী নুরুল ইসলামের মেয়ে। তবে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক এমপি খান টিপু সুলতান। তিনি দাবি করেছেন সুমি আত্মহত্যা করেছে।
সুমীর চাচা আমিনুল ইসলাম জানান, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর যশোরের সাবেক এমপি খান টিপু সুলতানের ছেলে হুমায়ুন সুলতান সাদাবের সাথে শামারুখ মেহজাবিন সুমির বিয়ে হয়। সুমি পেশায় চিকিৎসক। আর হুমায়ুন সাদাফ আইনজীবী। সুমী এফসিপিএস পরীক্ষা দিতে চাইলেও তাকে বারবার বাঁধা দেয়া হয়েছে। শ্বশুর শাশুড়ি কখনো চাইতো না সুমি এফসিপিএস কোর্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করুক। বিভিন্ন সময়ে তার ওপর নির্যাতন করা হয়েছে।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার পরিকল্পিতভাবে শ্বশুর শাশুড়ি সুমিকে পিটিয়ে হত্যা করে বাথরুমে ঝুলিয়ে রাখে। পরে উদ্ধার করে রাজধানীর সেন্ট্রাল হসপিটালে নেয়া হয়।
সুমীর বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, শ্বশুর শাশুড়ি সুমীর মাথায় আঘাত করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর তাকে রাজধানীর ধানমন্ডি সেন্ট্রাল হসপিটালে ভর্তি করা হয়। পরে তার মৃত্যু হয়েছে। মেয়েটি এমবিবিএস পাস করে এফসিপিএস কোর্স করতে চেয়েছিলো। কিন্তু তার শ্বশুর-শাশুড়ি কখনো রাজি হয়নি। এ ঘটনার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
অপরদিকে সাবেক এমপি খান টিপু সুলতান সাংবাদিকদের জানান, দুপুরে সুমী বাথরুমে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনার পর তার পরিবারের স্বজনদের জানানো হয়েছে। থানায় নিজে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
হত্যার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি একটি দুর্ঘটনা। এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। সে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখুক আসলে ঘটনা কী। আমরা কোন কিছু গোপন করিনি।