ফরিদপুরে বেড়েছে শনাক্ত-মৃত্যু, বিধিনিষেধে শহর ফাঁকা
ফরিদপুরে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ও বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এদিকে জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন ও উপসর্গ নিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া কঠোর বিধিনিষেধের ষষ্ঠদিনেও ফাঁকা ছিল শহর। তবে সোমবার থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় শনিবার (২৬ জুন) সকালের দিকে মানুষের ভিড় বেড়েছে মুদি দোকান ও কাঁচাবাজারে।
এদিকে জেলায় নতুন করে আরও ১৫৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১১৭ জন।
শনিবার ফরিদপুরের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মধুখালীর শহিদুল ইসলাম (৬০)। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে নগরকান্দার সুকন্ঠ বিশ্বাস (৬৫) ও বোয়ালমারীর ছোয়াদ আলী চৌধুরী (৮০) মারা গেছেন।
এদিকে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্ত বৃদ্ধি এবং কঠোরভাবে জেলায় চলমান ও আসন্ন দেশব্যাপী লকডাউনে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
সরেজমিনে শহরের প্রধান মুজিব সড়কে গিয়ে দেখা যায়, মাঝেমধ্যে সড়কে এক-দুইটি রিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করতে দেখা গেলেও দোকানপাটগুলো ছিল বন্ধ। শহরের জনতা ব্যাংকের মোড় ও ভাঙা রাস্তার মোড় এলাকা প্রায় জনশূন্য ছিল। তবে রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে ঢাকাগামী যাত্রীদের দুর্দশা লক্ষ্য করা গেছে।
শহরের এক রিকশাচালক কুতুব শেখ বলেন, ‘পেটের দায়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পলায় পলায় রিক্সা চালাচ্ছি। পুলিশের চোখে পড়লে রিকশা ধরে নিয়া যাইবো। আবার কোনো কোনো সময় সিট খুলে নেয় ও চাবি কেড়ে নেয় পুলিশ।’
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, ফরিদপুরে এ পর্যন্ত ১২ হাজার ২৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে জেলার ৮৬ জন মারা গেছেন। এছাড়া ফরিদপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আশপাশের জেলার মোট ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ‘কঠোর বিধিনিষেধ পালনে পুলিশকে কঠোর হতে হয়েছে। সামনে আরো কঠোর অবস্থানে যাওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অযথা কেউ ঘরের বাইরে যাবেন না। সরকারি নির্দেশনা পুরোপুরি মেনে চলবেন। তবে মানুষ যাতে অযথা হয়রানির শিকার না হয়- সে ব্যাপারে নজর রাখা হবে।’
এন কে বি নয়ন/এসএমএম/এমকেএইচ