অজ্ঞাত রোগে মারা গেল কৃষকের ১১শ হাঁস
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে স্বপন মিয়া (২৮) নামের এক কৃষকের দুই দিনে প্রায় ১ হাজার ১০০ হাঁস মারা গেছে। সোমবার (২১ জুন) থেকে বুধবার (২৩ জুন) সকাল পর্যন্ত হাঁসগুলো মারা যায়।
প্রাথমিকভাবে হাঁসগুলো মারা যাওয়ার কারণ জানা যায়নি। কৃষক স্বপন মিয়া উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের নয়ানগর বাউশালী পাড়া গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে।
স্বপন মিয়া জাগো নিউজকে জানান, চার বছর আগে ঢাকার গার্মেন্টস থেকে চাকরি ছেড়ে গ্রামে এসে তিনি কৃষিকাজ শুরু করেন। গত বছর এক হাজার হাঁস পালন করে কিছুটা লাভবানও হন। সে আশায় এবারো চৈত্র মাসের শেষ সপ্তাহে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রামপুর থেকে বাকিতে ১ হাজার ২০০ হাঁসের বাচ্চা আনেন। ৩০ টাকা পিস হিসেবে বাচ্চাগুলো আনতে খরচ হয় ৩৬ হাজার টাকা। ওই সময় বাচ্চাগুলোর বয়স ছিল একদিন।
হাঁসগুলো পালনে বাড়ির পাশে সুরিয়া নদীর পাড়ে মাচা ও নেটের বেড়া দিয়ে খামার তৈরি করেন। বাচ্চার খাবার কেনার জন্য এনজিও থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন। তিন দিন পরই হাঁসগুলো বাজারে বিক্রি করে দেয়ার কথা ছিল। এ অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যার পর হাঁস খামারে তোলেন। ওইদিন রাতেই অজ্ঞাত রোগে ছটফট করে প্রায় এক হাজার হাঁস মারা যায়। পরদিন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আরও ১৪০টি হাঁস মারা যায়।
স্বপন মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘হঠাৎ করে হাঁসগুলো খিঁচুনি দিয়ে মরতে শুরু করে। এতো অল্প সময়ে হাঁসগুলো মারা যাওয়ায় আমি চিকিৎসা করানোরও সুযোগ পাইনি। হাঁস পালন বাবদ এ পর্যন্ত এক লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। সব টাকাই ঋণের ওপর নেয়া। এখন সরকারের সহায়তা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল করিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ না করে এবং সঠিক নিয়মনীতি না জেনে হাঁস পালন করায় অনেক সময় রোগাক্রান্ত হয়ে হাঁস মারা যায়। স্বপন যদি আমাদের পরামর্শ নিয়ে হাঁস পালন করতেন তাহলে হয়তো এই ক্ষতি হতো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বপন মিয়া যদি হাঁস নিয়ে আমাদের কাছে আসেন তাহলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে। এছাড়া আমাদের জনবল কম। তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নেয়ার সুযোগ নেই।’
মঞ্জুরুল ইসলাম/এসআর/এএসএম