রাজশাহীতে ২৪ ঘণ্টায় ৩২৬ জনের করোনা শনাক্ত
রাজশাহী জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩২৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ১৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
মঙ্গলবার রাজশাহী সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, সোমবার (২১ জুন) সকাল ৯টা থেকে মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজশাহীতে মোট ১ হাজার ৬৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে আরটি পিসিআর মেশিনে ৩৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ১২৯ জন।
অন্যদিকে, রাজশাহীর ৯টি উপজেলায় মোট ৩৪৬ জনের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়। এতে শনাক্ত হন ৭০ জন। এছাড়া রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) থেকে ৯০৯ জনের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করে ১১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আবার জিন এক্সপার্ট টেস্ট করা হয় ২৯ জনের। তাদের মধ্যে ১৪ জনের শনাক্ত হয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের পিসিআর মেশিনে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৫০ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। আর মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিনে ২৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০২ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।
এদিকে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় পাঁচজন এবং উপসর্গে আটজন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে রাজশাহীর ১২ জন ও নাটোরের একজন রয়েছেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদের পাঁচজনই রাজশাহীর বাসিন্দা। উপসর্গে মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর সাতজন ও নাটোরের একজন রয়েছেন।
করোনা সংক্রমণের হার আগে চেয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, রাজশাহীতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে। এখন ঘরে ঘরে লোকজন করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন। এতে সবাই সেবা পাওয়ার আশায় রামেকে ছুটছেন।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত রোগী ভর্তির কারণে হাসপাতালে শয্যা সঙ্কট কোনোভাবেই কাটিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। সেই সঙ্গে রোগীর তুলনায় নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা, যে কারণে রোগীদের সেবা দিতে আমাদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। লকডাউনের সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের হার বৃদ্ধির বিষয়ে রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, দিন যত গড়িয়ে চলেছে পরিস্থিতি ততই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। বর্তমানে আত্মসচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে আত্মসচেতন হওয়া অতীব জরুরি।
ফয়সাল আহমেদ/এমএসএইচ/এএসএম