ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বেনাপোল-শার্শায় বাড়ছে সংক্রমণ, লকডাউন মানার বালাই নেই

বেনাপোল (যশোর) | প্রকাশিত: ১১:০৬ এএম, ১৯ জুন ২০২১

যশোরের বেনাপোল ও শার্শা উপজেলায় হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমণের হার কমিয়ে আনতে বেনাপোল ও শার্শায় লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টার পর সকল দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। কিন্তু লডাউনের তোয়াক্কা করছে না সাধারণ মানুষ। চলছে বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও প্রাইভেটকার। করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়লেও তা নিয়ে উদাসীন অনেকেই।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, গত তিনদিনে শার্শা উপজেলা ও বেনাপোলে ৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের শতকরা হার ৭৩ দশমিক ৩৩। এ পর্যন্ত উপজেলায় ৬২১ জন করোনা রোগী পাওয়া গেছে।

এদিকে ভারত থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের ১৪দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের রাখাসহ খাবার ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছে প্রশাসন। ভারত থেকে প্রতিদিন বাংলাদেশে আসছে পাসপোর্ট যাত্রী। ভারত থেকে আসা যাত্রীদের স্থানীয় হোটেলে রাখা হচ্ছে। বেনাপোল শহরের বিভিন্ন জায়গায় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, আনসার ও পৌর পুলিশ বাসিন্দাদের সচেতন করতে দিনরাত কাজ করছে। এরপরও স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারের দেয়া নির্দেশনা মানতে রাজি না এ অঞ্চলের মানুষ। অনেকেই গণমাধ্যমে নির্দেশনা মানার কথা বললেও তা মানছে না কেউ।

Benapole-Bazar-Corona-1.jpg

তবে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত সঙ্গে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম সচল রয়েছে। বন্দর এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল কার্যক্রম চলছে।বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন খান বলেন, ‘বেনাপোল বাজারের সকল দোকানদারকে মাস্ক পরিধান ছাড়া পণ্য বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছে। করোনো প্রতিরোধ কমিটির বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। ভারত থেকে আসা যাত্রীদের মাস্ক এবং স্যানিটাইজার দিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়ে বিভিন্ন হোটেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করছি। তবে সাধারণ মানুষ যদি সচেতন না হন তাহলে পুলিশের একার পক্ষে কতটুকু বাস্তবায়ন করা সম্ভব।’

এদিকে নাভারণ সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরান বলেন, ‘বেনাপোল ও শার্শা উপজেলা সীমান্তবর্তী এলাকা। এখানে এ ভাইরাসের প্রভাব বেশি দেখা দিচ্ছে। প্রতিদিনই এলাকাবাসীকে সরকারের দেয়া নির্দেশনা মেনে চলতে অনুরোধ করছি। তাদের বলছি, নিজে সুস্থ থাকুন সকলকে সুস্থ রাখুন। লকডাউন বাস্তবায়নে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

মো. জামাল হোসেন/ইএ/এমএস