ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বাক্সেই বন্দি আইসিইউ শয্যা

জেলা প্রতিনিধি | নওগাঁ | প্রকাশিত: ১২:১৪ পিএম, ১৭ জুন ২০২১

নওগাঁয় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু। জেলার কোনো হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) সুবিধা না থাকায় তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসা রোগীদের পাঠাতে হয় পাশের জেলা রাজশাহী অথবা বগুড়ায়।

কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) তত্ত্বাবধানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) জন্য দুটি শয্যাসহ কিছু সরঞ্জাম হাসপাতালে আসলেও সেগুলো দেড় মাস ধরে বাক্সবন্দি অবস্থায় পড়ে আছে।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) জন্য দুটি শয্যা ও তিনটি ন্যাজাল ক্যানোলা এসেছে, যা গত দেড় মাস থেকে সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের নিচের তলায় বাক্সবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এর সঙ্গে প্রয়োজন- হাইফ্লো মাস্ক, পালস্ অক্সিমিটার, ন্যাজাল ক্যানোলা, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, স্যাকার মেশিন, নেবুলাইজার মেশিনসহ আরও আরও কিছু জিনিসপত্র এসেছে।

কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) তত্ত্বাবধানে স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ইউনিট দুটি স্থাপনের কথা। পূর্নাঙ্গ আইসিইউ চালু করতে ১৪টি সরঞ্জাম প্রয়োজন। সেখানে এসেছে ৩টি সরঞ্জাম। পূর্নাঙ্গ সরঞ্জাম না থাকায় ইউনিট দুটি আজও স্থাপন করা যায়নি।

অন্যদিকে হাসপাতালের নতুন ভবনের নিচের তলায় করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। যেখানে ৩০টি বেড আছে। এর মধ্যে করোনা ইউনিটের ফ্লু বিভাগে রয়েছে অর্ধেক বেড। যেখানে শ্বাসকষ্ট রয়েছে এমন রোগীদের অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়।

গত ২৯ এপ্রিল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই সিস্টেম চালু করা হয়েছে। তবে তীব্র শ্বাসকষ্টের রোগীদের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয় না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসীন রেজা বলেন, ‘নওগাঁ জেলায় জনসংখ্যা অন্য জেলাগুলোর তুলনায় বেশি এবং করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি। এরকম জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য রাজশাহী বা বগুড়া জেলায় যেতে হয়। ওই জেলার রোগীদের আইসিইউ বেড সংকুলান করে অন্য জেলার রোগীদের জন্য বরাদ্দ করা বেশ দুরুহ হয়ে যায়। জেলার ১১টি উপজেলা ছাড়াও পাশের আদমদীঘি ও আক্কেলপুর থানা থেকেও নওগাঁ সদরে চিকিৎসা নিতে আসে। যেখানে জনসংখ্যা প্রায় ৩৫ লাখ। জরুরি ভিত্তিতে আইসিইউ ও পিসিআর ল্যাব একান্ত প্রয়োজন।’

নওগাঁ সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্বাবধায়ক ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, ‘১০ শয্যা আইসিইউ এর চাহিদা পাঠানো হলে এর বিপরীতে দুই শয্যা আইসিইউ বরাদ্দ আসে এবং তিনটি ক্যানোলা পাওয়া গেছে। পূর্ণাঙ্গ আইসিইউ চালু করতে সিএমএসডি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। আইসিইউ সংস্থাপন করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের। তবে কবে নাগাদ আইসিইউ সংস্থাপন করা হবে তা বলা যাচ্ছে না।’

আব্বাস আলী/এমএইচআর/এএসএম