চুয়াডাঙ্গায় ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু, শনাক্ত ৫৯
চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ জনে। একই সময়ে ১৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আরও ৫৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সকালে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বুধবার চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ আরও ১৩১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে প্রেরণ করে। এতে ৫৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- দামুড়াহুদার গার্লস স্কুলপাড়ার আছিয়া খাতুন, দশমি পাড়ার সখিনা খাতুন এবং বিষ্ণুপুর গ্রামের রুবি খাতুন।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে বুধবার রাতে ১২৮ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে ৫৯ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শনাক্তের হার ৪৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন আরও ৪০ জন।
উপজেলাওয়ারি হিসাবে শনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ২৯ জন, আলমডাঙ্গায় চারজন, দামুড়হুদায় ১৮ জন এবং জীবননগর উপজেলায় আটজন রয়েছেন। এতদিন জীবননগর ও দামুড়হুদা উপজেলায় বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হলেও গতকাল সদর উপজেলায় শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুযায়ী, চুয়াডাঙ্গায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ৪০১ জন। এর মধ্যে সদরে ১২১ জন, আলমডাঙ্গায় ৩৭ জন, দামুড়হুদায় ১৬২ জন এবং জীবননগর উপজেলায় ৮১ জন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৬ জন, বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩৬১ জন। উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড রয়েছেন চারজন।
এদিকে গতকাল চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাবে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে স্থানীয়ভাবে ৬৬ জন এবং চুয়াডাঙ্গার বাইরে আটজন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সদর উপজেলার ১২১ জনের মধ্যে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১০৩ জন এবং হাসপাতালে ১৭ জন। রেফার্ড রয়েছেন একজন। আলমডাঙ্গা উপজেলার ৩৭ জনের মধ্যে ৩০ জন বাড়িতে, হাসপাতালে ছয়জন এবং রেফার্ড রয়েছেন একজন। দামুড়হুদা উপজেলার ১৬২ জনের মধ্যে নিজ বাড়িতে ১৪৮ জন এবং হাসপাতালে ১২ জন। বাকিরা রেফার্ড রয়েছেন। জীবননগর উপজেলার ৮১ জনের মধ্যে ৮০ জন নিজ বাড়িতে এবং একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সালাউদ্দীন কাজল/এআরএ/এএসএম