ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মুলাদী মেয়র প্রার্থী নিয়ে বিএনপির দ্বন্দ্ব

প্রকাশিত: ০৯:৫১ এএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৫

মুলাদী পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী নিয়ে বিএনপির প্রকাশ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদ মাহমুদকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে দলটির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দল ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দল।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা দলীয় কার্যালয়ে সভা করে আসাদ মাহমুদকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আ. ছাত্তার খানসহ দলের একটি বড় অংশ আসাদ মাহমুদের নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন না। তাদের অভিযোগ, আসাদ মাহমুদ আওয়ামী লীগের এজেন্ট হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের এড়িয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।

উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একই সংসদীয় নির্বাচনী এলাকার হওয়ায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীনের বিরোধের জের ধরে মুলাদী উপজেলা বিএনপি দ্বিধাবিভক্ত।

মেয়র প্রার্থী আসাদ মাহমুদ, জয়নুল আবেদীন সমর্থিত প্রার্থী হওয়ায় তার বিরোধীতা করছেন বেগম সেলিমা রহমানের অনুসারী উপজেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আ. ছাত্তারসহ তার সমর্থকরা।  

মুলাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রোকোনুজ্জামান বলেন, দলীয় কার্যালয়ে সভা করে আসাদ মাহমুদকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল।

এর আগে শুক্রবার সভা করে আসাদ মাহমুদকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দল।
রোকনুজ্জামান বলেন, আসাদ মাহমুদ বিগত উপজেলাসহ অন্যান্য নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আতাত করে বিএনপি দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করেছেন আসাদ মাহমুদ। তাই বিএনপি নেতাকর্মীরা মেয়র পদে তাকে মেনে নেয়নি।

রোকোনুজ্জামানের এ বক্তব্য সমর্থন করে উপজেলা বিএনপি সভাপতি আ. ছাত্তার বলেন, আসাদ মাহমুদকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। তবে আসাদ মাহমুদ মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন। এজন্য বিএনপি নেতাকর্মীরা তার ওপর ক্ষুদ্ধ।

দলের বিরোধ প্রসঙ্গে উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি মেজবাহউদ্দিন ফরহাদ বলেন, মেয়র পদে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে কারও ভেতরে ক্ষোভ থাকতে পারে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য তিনি চেষ্টা চালাচ্ছেন।

সাইফ আমীন/এমজেড/আরআইপি