ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই আলোচিত নেতা হেফাজতের নতুন কমিটিতেও
আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির ও মাওলানা নুরুল ইসলামকে মহাসচিব করে হেফাজতে ইসলামের ৩৮সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (৭ জুন) সকালে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নবগঠিত এ কমিটিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই আলোচিত নেতা স্থান পেয়েছেন। এদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতে ইসলামের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটি সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমানকে ওই পদে পুনর্বহাল এবং জেলা হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোবারক উল্লাহকে প্রথম সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
এদিকে, ২৬-২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় প্রধান হোতা হিসেবে মাওলানা সাজিদুর রহমান ও মুফতি মোবারক উল্লাহকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আসছে জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন। এই দুজনকে প্রধান আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। কিন্তু মামলাটি এখনো নথিভুক্ত না করায় জেলা শহরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা।
হেফাজতের এই দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর পক্ষে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তি। তাণ্ডবের ঘটনার পর দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠার পর মাওলানা সাজিদুর রহমান ও মুফতি মোবারক উল্লাহ এক প্রকার আত্মগোপনে রয়েছেন।
হেফাজতের আমির ও হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মারা যান। এর পর নানান আলোচনার মধ্যে ১৫ নভেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে বাবুনগরীকে আমির করে হেফাজতের ১৫১ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। ১৫১ সদস্যের ওই কমিটিতে আহমদ শফীর অনুসারীরা কেউ জায়গা পাননি।
তবে নতুন কমিটি গঠনের ছয় মাস পার হওয়ার আগেই নরেন্দ্র মোদির সফরকেন্দ্রিক বিক্ষোভ থেকে সহিংসতার ঘটনার পর পুলিশি অভিযানে চাপে থাকা হেফাজতের সেই কমিটি এ বছরের ২৫ এপ্রিল রাতে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসজে/এমকেএইচ