যশোর পৌরসভার দুই ওয়ার্ডে ‘কঠোর বিধিনিষেধ’
করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কমিয়ে আনতে যশোর পৌরসভার ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জনসাধারণের চলাচলের ওপর ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার (৫ জুন) রাতে যশোর সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভা শেষে জেলা প্রশাসকের মিডিয়া সেলের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিক; কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়। যশোরে করোনা প্রতিরোধ কমিটি প্রতিনিয়ত এসব বিষয়ে আলোচনা করছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে যেসব স্বাস্থ্যবিধি আরোপিত আছে, তা আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে এবং জনসচেতনতায় আরও বেশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
যশোর পৌরসভার ঘোপ (৩ নম্বর ওয়ার্ড) ও কাজীপাড়ায় (৪ নম্বর ওয়ার্ড) করোনা রোগী বেশি আক্রান্ত। বর্তমানে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৩ জন করোনা রোগী। এমন পর্যায় থেকে করোনা সংক্রমণ কমাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার (৬ জুন) থেকে এ দুটি ওয়ার্ডে বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে কেউ যেতে পারবে না। তবে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আটি পয়েন্টের মধ্যে দুটটি পয়েন্ট দিয়ে জনসাধারণ সীমিত পরিসরে চলাচল করতে পারবে। বাকি পয়েন্টগুলো সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে রাখা হবে। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ১৬টি পয়েন্টে বিভক্ত করা হয়েছে। এ ১৫টি পয়েন্টের মধ্যে সাতটি পয়েন্ট দিয়ে জনসাধারণ সীমিত পরিসরে চলাচল করতে পারবে। বাকি পয়েন্টগুলো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে রাখা হবে।
জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে। নিয়মিত বিজিবি, র্যাব, আনসার বাহিনীর টহল টিম টহল জোরদার করবে। এই ওয়ার্ড দুটিকে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইন অমান্যকারীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান বলেন, পৌরসভার ছাড়াও নওয়াপাড়া পৌরসভার দু’টি ওয়ার্ড ও ঝিকরগাছার গদখালি ইউনিয়নের কিছু বাড়িতে কঠোরতা আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মিলন রহমান/এসএস/আরএইচ/এএসএম