রোববার থেকে পুরো মোংলা উপজেলায় কঠোর বিধিনিষেধ
মোংলায় করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার (৫ জুন) সংক্রমণের হার ছিল ৭০ শতাংশ। এই অবস্থায় কঠোর বিধিনিষেধের আওতা এবং সময় আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এতোদিন শুধু পৌর এলাকায় এ বিধিনিষেধ কার্যকর থাকলেও রোববার (৬ জুন) থেকে উপজেলাব্যাপী প্রযোজ্য হবে।
এদিকে করোনার চলমান কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করতে মাঠে নেমেছে কোস্টগার্ড। শনিবার সকাল থেকে মোংলা পোর্ট পৌরশহর এলাকায় টহল দিয়েছে কোস্টগার্ড। একই সঙ্গে, মাঠে ছিল পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবক। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আছেন দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস জানান, শনিবার ৪৮ জনের মধ্যে নতুন করে ৩৪ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। করোনা সংক্রমণের এই হার শতকরা ৭০ ভাগ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, রোববার থেকে এক সপ্তাহ পৌর এলাকা ছাড়াও সমগ্র উপজেলাব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর হচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক এবং আনসার বাহিনী কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করবে।
অন্যদিকে শনিবার অপ্রয়োজনে যানবাহন নিয়ে শহরে প্রবেশ ও অহেতুক ঘোরাফেরার কারণে অনেককে জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশী।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পৌর শহরের প্রবেশমুখে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে যানবাহন চলাচল ও লোকসমাগম নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
শহরের দেকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা গেলেও রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচল ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে খারাপ অবস্থা দেখা গেছে শহরের কাঁচা, মাছ, মাংস ও মুদি বাজারে। সেখানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্কবিহীন গাদাগাদি চলাচল করতে দেখা গেছে। পৌর শহরের প্রধান রাস্তঘাট প্রশাসনের নজরে থাকলেও অনেকটা নজরের বাইরে ছিল তরকারি, মাছ, মাংস ও মুদি বাজার।
এরশাদ হোসেন রনি/এসআর/এসএস