ত্রাণ নয়, টেকসই বাঁধ চান কয়রা উপকূলবাসী
ত্রাণ নয়, টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মাণের দাবি ক্রমেই জোরালো হচ্ছে খুলনায়। মঙ্গলবার (১ মে) স্থানীয় সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শনে গেলে এ দাবি জানান স্থানীয়রা।
এসময় তিনি টেকসই বাঁধের আশ্বস্ত করে গ্রামবাসীর সঙ্গে বাঁধ মেরামতে অংশ নেন। এর আগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রসঙ্গটি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ছয়দিন কেটে গেলেও কয়রা উপকূলের ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামত না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে দিনাতিপাত করছেন পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পাউবোর বেড়িবাঁধ ভেঙে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন নোনা পানিতে নিমজ্জিত হয়। ভেঙে যায় বাঁধ। গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে কয়েকটি বাঁধ আটকাতে সক্ষম হলেও মহারাজপুরের দশালীয়া ও উত্তর বেদকাশি গাতিরঘেরি বাঁধ দিয়ে অব্যাহত জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে অন্তত ৪০টি গ্রাম। এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।
বাগালি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার পাড় বলেন, দশালিয়ার বাঁধ ভেঙে ইউনিয়নের ১৫ টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘরবাড়ি সহায়-সম্বল হারিয়ে তারা অমানবিক জীবন যাপন করছেন।
মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু বলেন, ইউনিয়নের ২৫ গ্রাম পানিতে প্লাবিত রয়েছে। গ্রামবাসীদের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে আমরা ভাঙা বাঁধ আটকাতে ছয়দিন যাবত চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। তিনিও টেকসই বাঁধের দাবি করেন।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান বলেন, কয়রায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে পায় পাঁচ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আংশিক ক্ষতি প্রায় ১৫ কিলোমিটার। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে বাঁধ মেরামতের জন্য জাইকা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কাজ শুরু করা হবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, ষাটের দশকে নির্মিত বাঁধগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অনেক স্থানেই জোয়ারের পানির চাপ সহ্য করতে পারছে না। এজন্য সরকার টেকসই বাঁধ নির্মাণের মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
আলমগীর হান্নান/আরএইচ/এমএস