খুলনায় করোনায় ৭ ও উপসর্গে ২ জনের মৃত্যু
খুলনা বিভাগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া করোনার উপসর্গে মারা গেছেন আরও দু’জন। এসময় বিভাগে নতুন করে আরও ২০৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদিকে শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা খুলনা জেলায় সবচেয়ে বেশি।
সোমবার (৩১ মে) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা ও খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন খুলনার দুইজন, বাগেরহাটের একজন, যশোরের একজন, সাতক্ষীরার একজন, নড়াইলের একজন ও কুষ্টিয়ার একজন। একইসময় করোনা শনাক্ত হয়েছে খুলনার ৫৩ জনের, বাগেরহাটের ১২ জনের, সাতক্ষীরার ৩৭ জনের, যশোরের ৪৩ জনের, নড়াইলের ৯ জনের, ঝিনাইদহের পাঁচজনের, কুষ্টিয়ার ৩৩ জনের, চুয়াডাঙ্গার ১১ জনের ও মেহেরপুরের তিনজনের। এসময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৮ জন।
খুমেক হাসপাতালের আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, খুলনায় করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১০১ জন। যার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ১১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় দু’জন করোনায় মারা গেছেন। এছাড়া করোনা উপসর্গে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৪ হাজার ২৯১ জনের। এদিকে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৪৫ জনের। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩১ হাজার ৩৫৮ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা য়ায়, বিভাগে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক থেকে খুলনা জেলা রয়েছে শীর্ষে। এপর্যন্ত খুলনায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ২২৪ জন ও মারা গেছেন ১৭৪ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ১৭৬ জন।
এদিকে বাগেরহাটে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট এক হাজার ৬০৩ জন। মারা গেছেন ৪২ জন ও সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৪০৮ জন। সাতক্ষীরায় আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৫৯৬ জন ও মারা গেছেন ৪৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ৩২৯ জন।
আর যশোরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ছয় হাজার ৯৩০ জন। মারা গেছেন ৮১ জন ও সুস্থ হয়েছেন ছয় হাজার ৩৮৭ জন। নড়াইলে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৮৭৩ জন। মারা গেছেন ২৭ জন ও সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৮১৫ জন। মাগুরায় আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ২৫৩ জন, মারা গেছেন ২৩ জন ও সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ২০৭ জন।
আপরদিকে ঝিনাইদহে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৯০৮ জন, মারা গেছেন ৫৫ জন ও সুস্থ হয়েছেন ২ হজার ৭৩৬ জন। কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন চার হাজার ৯৪৬ জন, মারা গেছেন ১১২ জন ও সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ৬৪৮ জন। চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৯৬৮ জন, মারা গেছেন ৬১ জন ও সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৮১৭ জন।
আক্রান্তের দিক দিয়ে সর্বনিম্নে রয়েছে মেহেরপুর। এখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯০ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৩ জন ও সুস্থ হয়েছেন ৮৩৫ জন।
আলমগীর হান্নান/এসএমএম/জেআইএম